ফের রসগোল্লা নিয়ে বিতর্ক শুরু হল। গত ২৯ শে জুলাই উড়িষ্যার রসগোল্লাও জিআই ট্যাগ পেয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে ‘বাংলার রসগোল্লা’ কথাটি নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়ল। এই মর্মে বাংলার রসগোল্লা নিয়ে একটি শুনানি হবে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওইদিন বাংলার দাবি খর্ব হতে পারে।
ইতিমধ্যে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই রেজিস্ট্রির তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুটি দফতর রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং পেটেন্ট তথ্য কেন্দ্র, উচ্চ শিক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগকে নোটিশ দিয়েছে। চেন্নাই ভিত্তিক জিআই রেজিস্ট্রিতে আবেদন করেছেন রমেশচন্দ্র সাহু নামে এক আবেদনকারী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে চিঠি দিয়ে বাংলার সরকারকে জানানো হয়েছে। ওইদিন হাজির থাকতে বলা হয়েছে বাংলাকে। জিআই রেজিস্ট্রি থেকে প্রাপ্ত সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, উপস্থিত না থাকলে জিআই আইন ও বিধি অনুসারে মামলাটিতে পেশ করা পূর্বের কাগজপত্রের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাংলার রসগোল্লার কীভাবে জিআই ট্যাগ মঞ্জুর করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিশদ চেয়ে এই পিটিশন দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে রসগোল্লার উৎসভূমি হিসেবে বাংলার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। রসগোল্লার আবিষ্কর্তা হিসেবে নবীনচন্দ্র দাসের নাম উঠে এসেছিল। তা সত্ত্বেও ওড়িশার দাবি ছিল, বাংলার রসগোল্লা আগে আবিষ্কার করলেও ওড়িশার রসগোল্লা অন্য সবার থেকে একেবারেই স্বতন্ত্র। একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির রসগোল্লা। এই রসগোল্লা রসালো, নরম এবং মুখে দিলেই গলে যায়। উল্লেখ্য, বাংলার রসগোল্লার খ্যাতি তার স্পঞ্জ প্রকৃতির জন্য। এর আগে ওড়িশা ২০১৫ সালে রসগোল্লার জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু তা বাতিল হয়ে ২০১৭ সালে বাংলার রসগোল্লাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯-এর ২৯ জুলাই ওড়িশা বাংলার অধিকারে ভাগ বসিয়ে জিআই ট্যাগ আদায় করে নেয়।