বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হামলার পর থেকেই ভোট প্রচারে বেরিয়ে সেনার বীরত্বকে কাজে লাগাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকী কমিশনের তরফে ভোটপ্রচারে সেনাকে হাতিয়ার করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়ার পরও একাধিক সভায় সেনাবাহিনীর সাফল্যের কথা তুলে ধরে বিধিভঙ্গ করেছেন মোদী। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এত সেনাপ্রেম কি শুধুই ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে? কারণ মোদী সরকারের দিকে এবার আঙুল তুলছেন খোদ সেনা, আধাসেনারাই।
তাঁদের অভিযোগ, সেনাদের দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখতে মোদী সরকার কমিটি গঠন করলেও তাতে আইএএস ও আইপিএস অফিসাররাই রয়েছেন। সেনার কোনও অফিসার নেই। এতে জওয়ানদের মনোবল ধাক্কা খাবে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন সেনা-কর্তারা। প্রাক্তন সেনাপ্রধান (কার্গিল যুদ্ধের সময়ের) জেনারেল ভি পি মালিকের মন্তব্য, ‘শুধু আইএএস-আইপিএস-দের নিয়ে আরও একটা কমিটি কেন? নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বৈষম্য হলে অনৈক্য তৈরি হবে। দেশের সীমান্তে ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের মনোবলে ধাক্কা লাগবে। তাঁদের কার্যকারিতা কমে যাবে।’
তিন সামরিক বাহিনী, সিআরপিএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি-র জওয়ানেরা মোদী সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। বহুদিন ধরেই সেনা, আধাসেনা জওয়ানরা দাবি তুলেছেন, শূন্যপদের অভাবে তাঁদের পদোন্নতি আটকে থাকছে। সেক্ষেত্রে পদোন্নতি না হলেও তাঁদের উচ্চতর পদের সমান বেতন দেওয়া উচিত। আমলা ও আইপিএস-দের জন্য এই সুবিধা চালু রয়েছে। এই ‘এনএফইউ’ বা ‘নন-ফাংশনাল আপগ্রেডেশন’-এর দাবি খতিয়ে দেখতে মোদী সরকারের কর্মিবর্গ মন্ত্রক গত ৩০ এপ্রিল একটি কমিটি গঠন করেছে। প্রাক্তন অর্থসচিব রতন পি ওয়াটালের নেতৃত্বাধীন কমিটির কাজ হবে, সপ্তম বেতন কমিশনের এনএফইউ সংক্রান্ত সুপারিশ খতিয়ে দেখা। কিন্তু কমিটিতে সেনা বা আধাসেনা বাহিনীর প্রতিনিধির জায়গা হয়নি। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক।