আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমস্যা তো রয়েছেই। রাজনৈতিক দিক থেকেও অন্তর্দেশীয় অস্থিরতা এখন তুঙ্গে উপত্যকায়। এরই মধ্যে এক বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তিনি বলেন, ‘বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার আগেই জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী পদে সাজাদ লোনকে বসাতে চেয়েছিল মোদী সরকার। দিল্লির কথা শুনলে সেটাই করা উচিত ছিল আমার। কিন্তু তা আমি করিনি। কারণ সেটা করলে আমি উপত্যকার বাসিন্দাদের কাছে বিশ্বাসঘাতক হয়ে যেতাম।’
জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালের এই কথার পরে আবারও নতুন করে বিপাকে পড়েছে কেন্দ্র। কীভাবে এক রাজ্যের রাজ্যপালকে সম্পূর্ণ অনৈতিক এক কাজ করার নির্দেশ দিতে পারে মোদী সরকার, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন যে সরকারের চাপের মুখে পড়েও তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন। বিজেপি বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের কোনওরকম প্রভাবই তাঁর সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার আগেই পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজাদ লোন এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি দু’জনেই সরকার গড়ার দাবি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে এসেছিলেন। বিজেপি-পিডিপি জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই উপত্যকায় রাজ্যপাল শাসন বহাল রয়েছে। তারপর থেকে সত্যপাল মালিকই চালাচ্ছেন উপত্যকার যাবতীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম। কিন্তু এরমধ্যেই মোদী সরকারের তরফে ক্রমাগত চাপ আসতে থাকে। কিন্তু তা সত্বেও সাজাদ লোনকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসাননি তিনি। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আবারও সমালোচনার ঝড়ে বিদ্ধ মোদী অ্যান্ড কোম্পানি।