বিজেপি বিরোধী বৈঠকে যোগ দিতে ১০ ডিসেম্বর দিল্লী যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক থেকেই শুরু হবে মোদী বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ।
প্রসঙ্গত, ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ওই দিনই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে। ঠিক এমন সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লী সফর ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। মনে করা হছে, সেদিন থেকেই ২০১৯ লোকসভা ভোট-কৌশলের প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হয়ে যাবে।
তারপরেই কলকাতার ব্রিগেডে বিজেপি বিরোধী সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে ওইদিন কলকাতায় আসবেন কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গান্ধীও। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এ বিষয়ে সোনিয়ার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছেন সোনিয়া। ইতিমধ্যেই সোনিয়ার দপ্তর থেকে ওই দিন তাঁর কলকাতায় উপস্থিত থাকার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ব্রিগেডের এই বিজেপি বিরোধী সমাবেশে মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে আসছেন বিজেপি-র বিক্ষুব্ধ সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ও দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতা অরুণ শৌরি ও যশবন্ত সিংহও। এঁরা ছাড়াও ওই সমাবেশে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সম্মতি জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী ও তাঁর পিতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, তামিলনাড়ুর ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রমুখ।
লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল আয়োজিত ব্রিগেড সমাবেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল বেরনোর পরেই বেজে উঠবে ফাইনালের, অর্থাৎ লোকসভার ভোটের প্রচারের দামামা। পাঁচ রাজ্যের ভোটে কংগ্রেস কতটা ভাল ফল করছে, তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে ওই দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। কারণ, লোকসভার দুশোর মতো আসনে সরাসরি লড়াই বিজেপি ও কংগ্রেসের। কিন্তু বাকি তিনশোর বেশি আসনে অ–কংগ্রেসি বিরোধী দলগুলির সঙ্গেই লড়াই বিজেপি–র। এই দলগুলির মধ্যে যত বেশি সংখ্যক দলকে মমতা সঙ্গে টেনে নিতে পারবেন ততই শক্তিশালী হবে বিরোধী ফ্রন্ট। পাঁচ রাজ্যের ভোটের পর বাংলা থেকেই সম্মিলিতভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার উৎখাতের আওয়াজ আরও জোরালো হতে চলেছে। আর এই কৃতিত্ব যাচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ঝুলিতেই।