মতুয়া ভোটে ভাগ বসাতে চাইছে বিজেপি। তাই চক্রান্ত করছে তারা। বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের কথোপকথনের ফাঁস হওয়া অডিও টেপ প্রসঙ্গে এমনই অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুর।
সম্প্রতি গোপালনগরের পাল্লা এলাকায় মঞ্জুলের ছোট ছেলে সুব্রতর নেতৃত্বে মতুয়া মহাসঙ্ঘের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজির হিলেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো বিজেপি নেতারা। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া মুকুল-কৈলাসের অডিও টেপে শোনা গেছে, শান্তনু ঠাকুরকে দলে নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছাকাছি পৌঁছনোর পরিকল্পনার কথা। তারপরেই মমতা ঠাকুর বলেন, ‘শান্তনুকে সামনে রেখে মতুয়া ভোট ভাগ করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। কারণ, এই বিজেপিই এনআরসি-র মতো কালা আইন এনে মতুয়া-সহ দেশের কোটি কোটি উদ্বাস্তুদের তাড়াতে চাইছে। তাঁর বিরুদ্ধেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আন্দোলনে নেমেছেন তৃণমূল কর্মীরা।ফলে নিজের ভালোর জন্যই সাধারণ মতুয়ারা কখনই বিজেপির হাত ধরবে না’।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট বড় ফ্যাক্টর। তৃণমূলের সঙ্গে মতুয়াদের সম্পর্ক অনেক গভীর। সারা ভারত মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধান উপদেষ্টা বড়মা বীণাপাণি দেবী নিজের মেয়ের মতো ভালবাসতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মতুয়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা নেয় তৃণমূল। মতুয়াদের নানা সমস্যা তুলে ধরতে বড়মার ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরকে বিধানসভা ভোটে টিকিট দেন মমতা। মন্ত্রীও করেন। বড় ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। তাঁর অকালমৃত্যুর পর এই আসনের উপনির্বাচনে মঞ্জুল চেয়েছিলেন তাঁর বড় ছেলে সুব্রত ঠাকুরকে টিকিট দিক দল। কিন্তু দল প্রয়াত কপিলের স্ত্রী মমতাকে টিকিট দেওয়ায় ক্ষুব্ধ মঞ্জুল মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিজেপি সুব্রতকে মমতা ঠাকুরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে। কিন্তু লাভ হয়নি। মমতার কাছে হেরে যান সুব্রত। তখন থেকেই ঠাকুরবাড়ির দুই পরিবার ভাগ হয়ে যায়।