নতুন বছরের শুরু থেকেই সারা দেশের চোখ থাকবে ব্রিগেডে। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই বিজেপির মৃত্যু ঘণ্টা বাজাতে দলের অন্দরে প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বিজেপি বিরোধী বেশীরভাগ রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আমন্ত্রণ পর্ব পাঠানো হয়েছে। কেজরিওয়াল ও চন্দ্রবাবু নাইডু আসবেন বলেও জানিয়েছেন। মোদী বিরোধী আন্দোলনে কোনও ফাঁক রাখতে চান না তৃণমূল নেত্রী। তাই এই মহাজোটে সিপিএমকেও ডাক দিয়েছেন তিনি।
যদিও সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে, মমতার সভায় ডাক পেলেও তাঁরা যাবেন না। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘নাটক করছেন মমতা’। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আমরা কাউকেই ক্ষুদ্র মনে করিনা। সিপিএম আমার বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করে। রোজই যা ইচ্ছে তাই করে বেড়ায়। কিন্তু বামপন্থীদের সবাইকে খারাপ ভাবতে আমি রাজি নই। তাই আমরা কেরালার মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানাব। তিনি আসবেন কিনা সেটা তাঁর ব্যাপার। আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই-কেও আমরা আমন্ত্রণ জানাব’।
সাম্প্রতিককালে জাতীয় ইস্যুতে তৃণমূলনেত্রীর অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ফলে মমতার এই আমন্ত্রণ রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি বিরোধী জোটে বামেদের আমন্ত্রণ করে বল ঠেলে দিয়েছেন তাঁদের কোর্টেই। এতে একদিকে যেমন সিপিএমকে আহ্ববান জানিয়ে জাতীয় জোট শক্তিশালী করার চেষ্টা করলেন মমতা৷ অন্যদিকে, সেই আহ্ববানে সাড়া না দিলে তৃণমূলের ঘাড়ে জোট ভাঙার দোষ বর্তাবে না৷ উল্টে গুরুত্ব হারাবে সিপিএমই৷ আখেরে রাজ্য রাজনীতিতে তাতে লাভ হবে জোড়া ফুলেরই৷
আমন্ত্রিতদের তালিকা ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি হার্দিক প্যাটেল, জিগ্নেশ মেবানি, ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবুদুল্লা, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, লালুপ্রসাদ, তেজস্বী, স্ট্যালিনের নাম এক টানা উচ্চারণ করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘বহু নেতাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমরা। সব বিজেপি বিরোধী দলকে ডাকছি’।