টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওয় এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ও প্রযোজকদের সংগঠন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইম্পা) মধ্যে সাক্ষরিত হল এক সমঝোতাপত্র (মউ)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রযোজকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণ দাগা, ঋতব্রত ভট্টাচার্য, পল্লবী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ফেডারেশনের পক্ষে ছিলেন স্বরূপ বিশ্বাস, অপর্ণা ঘটক প্রমুখ। কয়েকদিন আগেই ফেডারেশন ও আর্টিস্ট ফোরাম বনাম প্রযোজকদের দ্বন্দ্বে শুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল টেলিভিশন ধারাবাহিকের। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। সেই বিবাদ আপাতত মিটেছে। নির্বিঘ্নে এখন শুটিং চলছে ধারাবাহিকের।
ফেডারেশন ও ইম্পার এই বৈঠক ঘিরে বিবাদ বড়সড় জট পাকাবে কি না, তা নিয়ে নানান আলোচনা চলছিল টালিগঞ্জ পাড়ায়। কিন্তু ফেডারেশনের পক্ষে স্বরূপ বিশ্বাস ও প্রযোজকদের পক্ষে কৃষ্ণ দাগা উভয়েই জানাচ্ছেন এই সমঝোতা পত্র কোনও বিবাদের জন্যে নয়। নেহাতই রুটিন মিটিং। প্রতি তিন বছর অন্তর এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। সাধারণত এই আলোচনায় ঠিক হয় কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক কতটা বাড়ান হবে, দিনের মধ্যে কতক্ষণ পর্যন্ত শুটিং করা যাবে ইত্যাদি। দু’পক্ষ একমত হয়েই মঙ্গলবার সমঝোতাপত্রে সই করেছেন।
তবে সাম্প্রতিক অতীতে বিদেশে শুটিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন কিছু প্রযোজক। আসলে ফেডারেশন প্রবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী বিদেশে কোনও ছবির শুটিং করতে গেলে কমপক্ষে ১৯ জন কলাকুশলীকে নিয়ে যেতেই হত। সেক্ষেত্রে তেমন কাজে লাগবেনা জেনেও কয়েকজন টেকনিসিয়ানের বোঝা বইতে হত প্রযোজককে। মঙ্গলবারের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির সময় এই ধরণের বিষয় নিয়ে কোনও জোরালো বিতর্ক হয়নি বলেই জানা গেল। টালিগঞ্জ পাড়ায় নানান জল্পনা চললেও দু’পক্ষই আলোচনার শেষে জানালেন, এটা ছিল রুটিন মিটিং।