তিনিই কালাইনারের রাজনৈতিক উত্তরসূরি।দক্ষিণ ভারতের রাজনীতির একমেবাদ্বিতীয়ম চরিত্র তথা ডিএমকে প্রধান ‘কালাইনার’ করুণানিধির দীর্ঘ অসুস্থতার সময় দলকে কার্যকরী সভাপতি হিসেবে জোরাল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এবার দলের সভাপতি নির্বাচিত হলেন এম কে স্ট্যালিন।
করুণানিধি মারা গিয়েছেন তিন সপ্তাহ আগে। তিনিই স্ট্যালিনকে উত্তরসূরী মনোনীত করে গিয়েছিলেন। তাঁর বড় ছেলে এম কে আলাগিরি বলেছিলেন, তাঁকেও পার্টির কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে হবে। কিন্তু স্ট্যালিনের সমর্থকরা সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।
স্ট্যালিন হলেন ডিএমকে-র দ্বিতীয় সভাপতি। এর আগে করুণানিধি ৪৯ বছর দলের সভাপতিত্ব করে গিয়েছেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে গত ১৪ অগাস্ট দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা ঘোষণা করেন, ৬৫ বছরের স্ট্যালিন এবার দলের হাল ধরবেন। আগে তিনি দলের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর পদে এলেন দুরাইমুরুগন। স্ট্যালিনের দাদা আলাগিরিকে ২০১৪ সালে দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন করুণানিধি। বাবার মৃত্যুর পরে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, আমাকে পার্টিতে ফিরিয়ে না নিলে বিপদ হবে। কিন্তু এদিন আন্না আরিভালয়মে দলের সদর দপ্তরে যখন স্ট্যালিনকে সভাপতি ঘোষণা করা হল, ধারেকাছে ছিলেন না আলাগিরি। পরে আলাগিরি পাল্টা দাবি করেন, স্টালিনকে সভাপতি নির্বাচনের খেসারত দিতে হবে ডিএমকে-কে। স্টালিনকে তিনি অকর্মণ্য নেতা বলে কটাক্ষ করেছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৪ সালে স্ট্যালিনের রাজনীতিতে প্রবেশ। তামিলনাড়ুর উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। দুবার চেন্নাইয়ের মেয়রও নির্বাচিত হন।করুণানিধি তাঁকে নিজের হাতে উত্তরসূরী হিসাবে তৈরি করেছিলেন। তাতেই অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন আলাগিরি।