ঝাড়গ্রামে খুন হলেন তৃণমূল নেতা চন্দন ষড়ঙ্গী।জামবনি ও ঝাড়গ্রাম বর্ডারের সত্যাডিহি থেকে চন্দনবাবুর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে চন্দনকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।মৃতদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থানে যায় জামবনি ও ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
দলীয় নেতা খুনের খবর আসতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঝাড়গ্রামে যান তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের স্বান্তনা দেন। তারপর চন্দন ষড়ঙ্গীর মৃতদেহে মালা দেন তাঁরা। পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুরনো সঙ্গীকে হারালাম। যে কায়দায় বিগত দিনে সিপিএমের জল্লাদ বাহিনী আমাদের কর্মীদের খুন করেছে, বিজেপি-র নাম ধরে তারাই জঙ্গলমহলে সেই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে’। মৃত চন্দনকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি স্মরণসভা আয়জনের কথা বলেন পার্থ।
সিপিএমের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি পুলিনবিহারি বাস্কে বলেন, ‘তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলেই এই খুন’।
মৃতের দাদা প্রসূন ষড়ঙ্গীর অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে। তাঁর ভাই তৃণমূল করত। ২০০২ সালে তাঁর বাবা মোহিনীমোহন ষড়ঙ্গীকে প্রথমে গুলি করে তারপর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়। এলাকার সিপিএম-এর লোকজন এখন বিজেপি করছে। তারাই খুন করেছে। দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।