বলিউডে টিন-এজ ফ্যাশন আইকন বলে তেমন কেউ ছিলনা এতদিন। জাহ্নবী সেই অভাব পূরণ করে দিয়েছেন। অল্প বয়স, মিষ্টি মুখ, কিশোরীসুলভ হাবভাব সব মিলিয়ে জাহ্নবী সবার মন জয় করে নিয়েছেন। পোশাক পরিচ্ছদে তেমন জাঁকজমক নেই। নেই মেকআপের বাহুল্যও। তবুও ‘ধড়ক’-এর প্রচারে যে সমস্ত অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেছে, সর্বত্রই মনে হয়েছে দিন দিন তিনি ভারী সুন্দরী হয়ে উঠছেন। এমনিতে জাণ্হবী সিম্পল লুক বজায় রাখলেও তাঁর হেয়ারস্টাইল কিন্তু অন্য কথা বলে। এই নিয়ে তিনি বেশ সচেতন।
শ্রীদেবী-তনয়া জাহ্নবী কাপুরকে ইদানিং ব্রেইড হেয়ার স্টাইলেই বেশি দেখা গেছে। সিধেসাধা কিন্তু চটকদার। ইন্সটাগ্রামে জাহ্নবীর ছবিগুলো ভালো করে নজর করলে বোঝা যাবে, ব্রেইড-হেয়ার স্টাইল নিয়ে তিনি ইদানীং বেশ এক্সপেরিমেন্ট করেছেন।
বিনুনির স্টাইল তো কিশোরীবেলারই একচেটিয়া ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। কলেজ পড়ুয়া ফ্যাশনিস্তাদের জাহ্নবীর চুলের এই বিনুনি-বাহার মন কেড়ে নেবে হলফ করে বলতে পারি। জাহ্নবীর সাম্প্রতিক কিছু ছবি থেকে এরকমই পাঁচটা হেয়ারস্টাইল বেছে নিলাম।
খোলা চুলে সাইড পার্টিং করে এক দিকের অংশের কিছু চুলের গোছা বিনুনি করে কানের পাশে আটকে দেওয়া হয়েছে। বাকিটা খোলা চুলের স্টাইল। স্মোকি আই-মেকআপের সঙ্গে স্মার্ট দেখাচ্ছে জাহ্নবীকে। ওয়েস্টার্ন বা এথনিক সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানাবে এই হেয়ার স্টাইল।
আদতে ফিশটেল হেয়ারস্টাইল। কিন্তু ভালো করে নজর করুন ক্রাউন এরিয়া থেকে আরও একটা বিনুনি কেমন এই ফিশটেল হেয়ারস্টাইলের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেকোনও লুকে গ্ল্যামার যোগ করবে এই হেয়ারস্টাইল।
রূপকথার রাজকুমারী যেন। হেয়ারস্টাইলের নামও প্রিন্সেস ব্রেইড। ফ্লোরাল হেয়ার অ্যাক্সেসরির ব্যবহারে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট জমে ক্ষীর। যেকোনও ইভনিং-ডু-র জন্য এর চেয়ে ভালো হেয়ারস্টাইল হতেই পারেনা। যেকোন এথনিক পোশাকের সঙ্গে মানাবে এই হেয়ার স্টাইল- সে লেহেঙ্গা হোক বা আনারকলি। ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গেও মন্দ লাগবে না এই হেয়ার-স্টাইল।
ক্রাউন এরিয়া থেকে চুলের গোছা নিয়ে বিনুনি বাঁধা শুরু হয়েছে। দুটো বিনুনির এই হেয়ার স্টাইল একেবারেই কিশোরী বেলার সাজসজ্জার কথাই মনে করিয়ে দেয়। পরিচ্ছন্ন হেয়ারস্টাইলের ফলে সামগ্রিকভাবে একটা শার্প লুক তৈরি হয়েছে।
আবারও খোলা চুলের স্টাইল। তাতে চমক যোগ করেছে অসংখ্য ছোট ছোট বিনুনি। বোহো হেয়ারস্টাইলের চমৎকার উদাহরণ। মেকআপ বলতে শুধু ঠোঁটে লাল টুকটুকে লিপস্টিক।