প্রবেশিকা ঘিরে কত নাটক। আন্দোলন, অনশন। দিকে দিকে বুদ্ধিজীবীদের বাক্যবাণ। যে প্রবেশিকা নিয়ে এত কিছু এবার সেই প্রবেশিকাপরীক্ষা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। প্রবেশিকা পরীক্ষাতে বসলেন-ই না ৭৫ শতাংশ আবেদনকারী। শুধু তাই নয়, দর্শন, রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়ে গেল শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই। স্পষ্ট হল স্বজনপোষণের অভিযোগও।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দর্শনে ১২০০ আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র ৩০০ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানে ৮০০ আবেদনকারীর মধ্যে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছিলেন ২০০ মাত্র জন। দেশ-বিদেশে খ্যাতি সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অবস্থাও প্রায় একই। ৪৭০০ আবেদনকারীর মধ্যে প্রবেশিকায় বসেন মাত্র ১৩০০ আবেদনকারী।
দুর্দশার একদিক যদি হয় এইরকম তাহলে অন্যদিকটা আরও অন্ধকারের। দর্শন ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রবেশিকা শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে পড়ুয়াদের হোয়াটস্যাপে। সাধারণত এই ধরনের প্রবেশিকার দায়িত্বে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই স্কলাররা। প্রশ্নফাঁসের নেপথ্যে তারাই রয়েছে বলে অভিযোগ।প্রবেশিকার প্রশ্নের ছবি তুলে তা স্কলাররা পাঠিয়ে দেন তাদের গোষ্ঠীভুক্তদের কাছে। সেখান থেকেই সেই প্রশ্ন ভাইরাল।
এখান থেকেই উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্ন, প্রশ্নফাঁসের নেপথ্যে যে স্বজনপোষণের অভিযোগ রয়েছে তাতে কী তাহলে সীলমোহর পড়ল? এই জন্যই কী মোধার ভিত্তিতে ভর্তি আটকানোর এত চেষ্টা? বিশেষ রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসীদের পরবর্তী সাপ্লাই লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই অনশনের ব্ল্যাকমেলিং কৌশল?