‘পপসিকেল’ শব্দটা শুনলেই মনে একটা রোমাঞ্চ তৈরি হয় কিনা বলুন। সে আপনি আঠেরো হোন বা আটান্ন। আট বছরের শিশুর কথা ছেড়েই দিলাম। সেই গলা জুড়নো তৃপ্তিতে একটু ট্যুইস্ট আনুন। সাধারণ অরেঞ্জ স্টিক অনেক খেয়েছেন। বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ডিটক্স পপসিকেলস। ব্যাপারটা নতুন ঠেকছে? রসুন তো মশাই। বিষয়টা খুলে বলতে দিন।
একজন সাধারন মানুষের ফিট থাকার প্রাথমিক শর্তগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সারাদিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া। এটা মানেন তো? কিন্তু অনেকেই সারাদিনে কাজের চাপে ঠিকমতো জল খেতেই ভুলে যান। আমাদের মতো গরমপ্রধান দেশে, এভাবে বেশিদিন চললে ডিহাইড্রেশন অবশ্যবম্ভাবী। শরীরে বাসা বাঁধবে নানা রোগ বালাই।
তাহলে উপায়?
খুব সহজ। আজকাল সাধারন জলের পাশাপাশি ডিটক্স ওয়াটার পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বেশিরভাগ ডায়েটিশিয়ান। জলের মধ্যে নানা ধরনের ফলের টুকরো, সবজি, বা ভেষজ একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ডুবিয়ে রেখে তৈরি করা হয় ডিটক্স ওয়াটার। জলে ফলের ফ্লেভার যোগ হওয়ার ফলে, জল খাওয়ার প্রতি একটা আগ্রহ তৈরি হয়। তাছাড়া নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, এই পানীয় শরীরের টক্সিন মুক্তিতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক ভাল রাখে। মুডও ভাল রাখে, আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ডিটক্স ওয়াটার বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়। আর তাই এই আইঢাই গরমে যদি আপনার দিল মাঙ্গে মোর, তবে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ডিটক্স পপসিকেল। বাড়িতে শুধু পপসিকেলস জমানোর মোল্ড থাকলেই হবে। যদি না থাকে অনলাইন স্টোরগুলোতে খোঁজ করুন। পছন্দমত মোল্ড অর্ডার করে দিন।
এখন জেনে নিন কয়েকটি সহজ ডিটক্স পপসিকেল রেসিপি।
বাড়িতে হাতের কাছে ফল না থাকলে কুছ পরোয়া নেই। পাতিলেবু আর শশা তো মোটামুটি ফ্রিজে থাকেই। আগে থাকতেই ফ্রিজে পুদিনা পাতা স্টোর করে রাখুন। পাতিলেবু আর শসা গোল গোল স্লাইস করে কেটে নিয়ে জলে ভিজতে দিন। পুদিনা পাতাও দিন। ডিটক্স ওয়াটার তৈরি হয়ে গেলে এবার পুদিনা, পাতিলেবু, শসার টুকরো সমেত মোল্ডে ভরে জমতে দিন।
ডাবের জল দিয়ে খুব ভালো ডিটক্স পপসিকেল হতে পারে। তাতে মিশিয়ে নিন বেরি বা প্লাম জাতীয় কোনও ফলের টুকরো। কিউয়িও চলতে পারে।
আম, তরমুজ বা আনারসের মতো মরশুমি ফল দিয়ে নানা ধরনের পপসিকেল জমানো যেতে পারে। আমের টুকরোর সঙ্গে সঙ্গে মেশাতে পারেন আমন্ড মিল্ক।
আপেল, মুসম্বি লেবুর মতো বারোমেসে ফল তো রইলোই।
আপনি যদি একটু বেশিমাত্রায় স্বাস্থ্য সচেতন হন, তাহলে আভোক্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। গ্রিন টি পপসিকেল মন্দ নয়। সঙ্গে মিশিয়ে নিন আদা আর মধু। আবার কেল বা পাতাকপির মতো সবজি ব্যবহার করেও বানানো যেতে পারে পপসিকেল। আপনার প্রিয় ফলের সঙ্গে মেশাতে পারেন চিয়া সিডস।
মনে রাখবে ডিটক্স পপসিকেল বানাতে গিয়ে একেবারেই চিনির ব্যবহার করবেন না। জানি চিনি দিলে স্বাদ একটু ভাল হবে, কিন্তু আপনার এতো খাটাখাটনির তো একটা উদ্দেশ্য আছে। সেটা মাঠে মারা যাক, এমনটা নিশ্চই চান না আপনি।