ছোট্ট মেয়েটা বুঁদ হয়ে দেখত স্টার ট্রেক, ডক্টর হু, স্টার ওয়ারস। তখন থেকেই তার মনে মহাকাশ অভিযানের নেশাটা চেপে বসেছিল। সেই মেয়েই বড় হয়ে হলেন নাসার বিজ্ঞানী। বছর পাঁচেক আগে মঙ্গলে প্রেরিত নাসার মহাকাশযান রোভার প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওতপ্রোত ভাবে। এবার শিরোনামে এলেন অনিতা সেনগুপ্ত। বাবা শ্যামল সেনগুপ্ত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তবে অনিতার জন্ম ব্রিটেনে। সেই অনিতা আবার শিরোনামে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তিনি গত বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন পরমাণুর শীতলতম অবস্থা নিয়ে। এমন একটি মহা-গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্টের অন্যতম মস্তিষ্ক তিনি। অবশেষে সেই প্রোজেক্ট পৌঁছে যাচ্ছে মহাকাশে।
নাসার কোল্ড অ্যাটম ল্যাবরেটরিতে লেজার রশ্মি প্রয়োগ করে পরমাণুকে গতিশূন্য করা হবে। তার পর তাকে শীতল করা হবে। মহাশূন্যের তাপমাত্রারও ১০ কোটি গুণ কম তাপমাত্রায় পৌঁছে দেওয়া হবে পরমাণুকে। নাসার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই তাপমাত্রা ব্রহ্মাণ্ডের সবথেকে শীতল তাপমাত্রা।
প্রসঙ্গত, অনিতা এখন আর নাসায় কর্মরত নন। তিনি ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।