বিদ্রোহী কবি নজরুলের আজ ১১৯তম জন্মবার্ষিকী
“মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান
মুসলিম তার নয়নমণি হিন্দু তাহার প্রাণ”
কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, বিপ্লবী কাজী নজরুল ইসলামের আজ ১১৯তম জন্মতিথি।
১৮৯৯ সালের ২৪’শে মে পূর্বতন ব্রিটিশ ভারত সাম্রাজ্যের বাংলার বর্ধমান জেলার আসানসোলের কাছে চুরুলিয়া গ্রামে (বর্তমান পশ্চিম বর্ধমান) জন্ম বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের।
বহু কবিতা, গান, উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রবন্ধের স্রষ্টা তিনি। প্রথম কবিতা “মুক্তি” প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে। ‘বিদ্রোহী’ ও ‘ভাঙার গান’ এর মতো কবিতাসমূহ এবং “ধূমকেতু” প্রকাশনার মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে তাঁর সমালোচনা রাষ্ট্র বিপ্লবকে এক অন্য পথ দেখায়। ধর্ম-জাতি-লিঙ্গ ভেদাভেদ সহ নানান গোঁড়ামি প্রথার বিরুদ্ধে তাঁর লেখাগুলিই তাঁকে এনে দেয় ‘বিদ্রোহী কবি’র ভূষণ। তাঁর ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধের সময় গভীরভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের।
কবিতা, উপন্যাস ছাড়াও অন্ততপক্ষে বহু গানের রচনা ও সৃষ্টিকর্তা তিনি যা ‘নজরুল গীতি’ নামে পরিচিত। নতুন বাংলা গজল গানেরও পথিকৃৎ তিনিই।
তাঁর জন্মদিবসে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় নিউটাউনের নজরুল তীর্থে আজ বিকেল ৫টায় এক অনুষ্ঠানে গুণীজনদের সম্মানিত করবে রাজ্য সরকার।অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হবে বিভিন্ন শিল্পীবৃন্দের দ্বারা।
এছাড়া নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে ২৭-২৯’শে মে প্রতিদিন বিকেল ৫টায় রবীন্দ্রসদন, মুক্ত মঞ্চ, শিশির মঞ্চ ও ফণীভূষন যাত্রা মঞ্চে চলবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
শুধুমাত্র জাতীয় স্তরে না, আন্তর্জাতিক স্তরে অর্থাৎ বাংলাদেশেও বিদ্রোহী কবির জন্মতিথি উদযাপিত হচ্ছে একইভাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হচ্ছে কবিকে।