‘দিদিকে বলো’র মোবাইল নম্বরে ফোন করেছিলেন। তাতেই বাজিমাত। কাটোয়ায় প্রভাতকুমার ঘোষের বার্ধক্যভাতা পাওয়ার জট কাটল। প্রতিবেশীর কথায় ফোন করেছিলেন। ভেবেছিলেন, যদি সমস্যার সুরাহা হয়, কিন্তু এতো দ্রুত ফল পাবেন এমনটা ভাবতেও পারেননি৷ প্রভাতবাবুকে কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পাল আবেদনের নথি–সহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেন।
দ্রুত বার্ধক্যভাতা প্রদানের আশ্বাসও দেন মহকুমা শাসক। তাঁর সঙ্গে দেখা করে অফিস থেকে বেরিয়ে প্রভাতবাবু বলেন, “২০১৮ সালে বার্ধক্যভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করি। কিন্তু না পাওয়ায় এক পড়শির পরামর্শে মাস দুয়েক আগে ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করি। তারা আমার কাছ থেকে সমস্ত কিছু জেনে নেন। এবার পেয়ে যাব”।
শুধু প্রভাতবাবুই নন, বার্ধক্যভাতা ও বিধবা ভাতা না পেয়ে কাটোয়া মহকুমা এলাকার যারা ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেছিলেন, তাদের মধ্যে ৪০ জনের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে। এই ৪০ জনকেই মহকুমা প্রশাসনের তরফে ডেকে পাঠিয়ে নতুন করে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পাল বললেন, ‘নবান্ন থেকে অভিযোগকারীদের একটি তালিকা পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন সেই তালিকা এখানে পাঠিয়েছে। তালিকা ধরে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। তার পর সেগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব।’
কেন্দ্র ২০১৩ সাল থেকে বার্ধক্যভাতা ও বিধবা ভাতার উপভোক্তাদের কোটা বাড়ায়নি। সেইজন্য অনেক আবেদনকারী ভাতা পাননি। এটা জানার পর বিষয়টি নিয়ে নিজে উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উদ্যোগেই বাড়ে কোটা। তার সুবিধা পাবেন কাটোয়া ও দাঁইহাট দুই পুরসভার ৯ জন–সহ গোটা মহকুমার ৪০ জন।