‘রাতের অন্ধকারে’ এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের সমর্থন আদায় করে রাতারাতি দেবেন্দ্র ফডনবিশকে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। কার্যত সবার অলক্ষ্যেই শপথগ্রহণ হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। এই বাজিমাতের পর স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির অন্দরে শাহ হয়ে উঠেছিলেন চাণক্য।
কিন্তু সুপ্রিম রায়ের পর সংখ্যা জোগাড় করতে না পেরে আস্থা ভোটের আগেই রণে ভঙ্গ দিতে হয় বিজেপিকে। ফডনবিশের ইস্তফায় ৪ দিনের মাথায় পড়ে যায় সরকার। এবার সেখানে সরকার গড়ছে বিরোধী জোট। মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। তবে মহারাষ্ট্র নিয়ে বিজেপির এই প্রবল অস্বস্তির মধ্যেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ ফের সামনে নিয়ে এলেন এনআরসি ইস্যু। বুধবার ফের ঘোষণা করলেন, সারা দেশেই জাতীয় নাগরিকপঞ্জী হবে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মহারাষ্ট্রের এই গরমাগরম রাজনৈতিক বাতাবরণের মধ্যে হঠাৎ এনআরসি ইস্যু কেন?
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে শুধু যে বিজেপির মুখ পুড়েছে তাই নয়, অমিত শাহের ‘চাণক্য’ তকমাও প্রশ্নের মুখে। গোয়া, মণিপুর, কর্ণাটক, হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও অমিতের কৌশলে বিজেপি সরকার গড়েছে। কিন্তু সেই ‘অমিত বিক্রম’ মুখ থুবড়ে পড়েছে মহারাষ্ট্রে এসে। ফলে যে বিজেপি নেতৃত্ব অমিতকে ‘চাণক্য’ বলে জোরদার প্রচার চালিয়েছিলেন, তাঁরাই এখন ব্যাকফুটে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেই দিক থেকে দেশবাসীর নজর ঘুরিয়ে দিতেই বুধবার টুইটারে অমিতের ঘোষণা, ‘আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে এনআরসি হবেই এবং সারা দেশেই হবে।’