অবশেষে মঙ্গলবার যবনিকা পতন ঘটেছে মহারাষ্ট্রে বেশ কিছু দিন ধরে চলতে থাকা ‘মহা’-নাটকের। যার পর গতকাল সন্ধ্যায় পূর্বসিদ্ধান্ত মত শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকেই দলনেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের ‘মহা’-জোট ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি’। পাশাপাশি সর্বসম্মত ভাবে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও উদ্ধবের নাম ঘোষণা করেছে তাঁরা।রাজ্যপালের আমন্ত্রণ মেলার পর সরকার গঠনে তৎপরতা বেড়েছে মহারাষ্ট্রের তিন দলীয় জোটে।
আগামিকাল, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে উদ্ধবের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। তাতে কাদের অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা। তবে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, ওই তালিকা থেকে চূড়ান্ত ভাবে অতিথিদের নাম বাছাই করবেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। এ দিন দুপুরে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করবেন কংগ্রেস নেতারা।
আমন্ত্রণপত্র যাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের নামেও। তবে আগামিকালের অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধী উপস্থিত থাকতে পারবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।
শরদের বাড়িতে এ দিন পৌঁছন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং আহমেদ পটেল। শরদের সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রস্তাবিত নাম নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের। প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল, উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন এনসিপির জয়ন্ত পাটিল ও কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট। তবে থোরাট বলেন, উপমুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’ দফতর বণ্টন নিয়ে আগামী দু’দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন থোরাট। তবে স্পিকারের পদ নিয়ে কংগ্রেসের মনোভাব নমনীয় হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও তার পরিবর্তে কংগ্রেস থেকে ৯ জনকে পূর্ণমন্ত্রী এবং ৪ জনকে রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হবে বলে আপাতত স্থির হয়েছে।
বুধবার সকালে বিধানসভায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মাঝেই রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারীর সঙ্গে দেখা করেন সস্ত্রীক উদ্ধব ঠাকরে। রাজভবনের ওই বৈঠককে সৌজন্যমূলক বলে জানানো হয়েছে। যদিও তাতে সরকার গঠন করা নিয়ে দু’জনের আলোচনা হয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা।