রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত বেশ কিছু দিন ধরেই চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চেয়ে লোকসভায় নোটিসও দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে গাড়ির কাচ নামিয়ে শহর ঘোরার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তার কিছুক্ষণ পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁকে পাল্টা দিলেন মেয়রও।
ফিরহাদ বলেন, “উনি অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন। তিনি মাননীয় রাজ্যপাল। তাই শ্রদ্ধার সঙ্গে বলছি উনি যা দেখে এসেছেন সেটাই শিখে এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেট এবং তাঁর মেয়র রাস্তায় নেমে কাজ করে। সবাই তা দেখেছেন। সেসব তথ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে আছে। সেগুলি দেখালে উনি দেখে নেবেন। শিখেও নেবেন”।
বহরমপুর সার্কিট হাউসে হাকিম বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে সর্বত্র সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদেরও কাজে লাগানো হয়েছে। ডেঙ্গুর বিনাশের জন্য কলকাতা সহ সব পুরসভায় পুরোদমে কাজ চলছে। তবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। জল জমতে না দেওয়ার জন্য সবাইকে আন্দোলন করতে হবে। যেখানে জল জমবে সেখান থেকে তা দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষ সচেতন না হলে পাশের বাড়ির ছাদে বা টবে জল জমে থাকলে তা পুরসভার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। বাড়ির লোকজনদেরই টবের জল ফেলে দিতে হবে। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সকলকে এগিয়ে এসে গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে পোলিওর মতো ডেঙ্গুর নিশ্চিত বিনাশ হবে।
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গু মোকাবিলায় কয়েক দিন আগে মেয়র নিজে রাস্তায় নেমেছিলেন। এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, আমরা রাস্তায় নেমে কাজ করি। সেসব দেখানো হলে রাজ্যপাল দেখবেন এবং শিখেও নেবেন। তাঁকে শ্রদ্ধার সাথেই একথা বলছি।