সম্প্রতি এক বিবৃতি জারি করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ জানিয়েছে, শান্তিনিকেতনের ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ভার আর বহন করবে না তারা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন এএসআই কর্তৃপক্ষ। গতকাল অধিবেশনের তৃতীয় দিনে সংসদে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সরব হলেন বাংলার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ভাবে আচমকা ওই ঐতিহ্যবাহী কাঠামোগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ভার এএসআই ছেড়ে দিতে পারে না, দেখভাল চালিয়ে যেতে হবে— সংসদে দাঁড়িয়ে এমনটাই দাবি তুললেন তিনি। সাংসদের বক্তব্য শোনার পর বিষয়টি সংস্কৃতি মন্ত্রকে জানানোর নির্দেশ দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
বিশ্বভারতীর উত্তরায়ণ চত্বরে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত পাঁচটি ভবনের কথা এ দিন রাজ্যসভায় উল্লেখ করেন ঋতব্রত। উল্লেখ করেন একটি কাঁচাবাড়ির কথাও, সংস্কারের পরে যেটির উদ্বোধন হয়েছে চলতি বছরের আগস্টে। সেই বাড়ির উদ্বোধনে গিয়েছিলেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু নিজেই। বাংলা থেকে নির্বাচিত সাংসদ এ দিন বেঙ্কাইয়াকে জানান, ওই সব ক’টি বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণই এত দিন এএসআই করত। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানিয়েছে যে, সে দায়িত্ব তাঁরা আর পালন করবে না।
ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলির রক্ষণাবেক্ষণে যে রকম তহবিল এবং যে রকম দক্ষতা জরুরি, তা এএসআই ছাড়া কারও পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলেও সাংসদ এ দিন দাবি করেন। ইতিমধ্যেই কোন কোন বাড়ির কোন কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা-ও রাজ্যসভায় জানান ঋতব্রত। বাংলার সাংসদের তোলা এই বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়েই শোনেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। ঋতব্রতর ভাষণ শেষ হতেই রাজ্যসভার নেতা থবরচন্দ গহলৌতকে তিনি বিষয়টি ‘নোট’ করতে বলেন এবং তৎপরতার সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রককে জানানোর নির্দেশ দেন।