লোকসভা ভোটে যে কটি আসন পেয়েছিল বিজেপি তার বেশিরভাগই উত্তরবঙ্গের। তার পিছনে ছিল বিজেপি শিবিরের তাণ্ডব। তারপরই নতুন ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে কর্পোরেট কায়দায় ঢেলে সাজানো শুরু করেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। একের পর এক নয়া প্রকল্প এনেছেন।
তৃণমূলের ২২ সিটের পিছনে সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল উত্তরবঙ্গের। আর সেই থেকে যাওয়া চির গুলো মেরামতির জন্যই ডাক পড়েছিল প্রশান্তের। নির্বাচনের ফলের পর ডাক পড়েছিল তাঁর। আসার পর থেকেই ‘দিদিকে বলো’র মতো জনসংযোগমূলক কর্মসূচির দ্বারা মানুষের আরও কাছাকাছি এসেছে তৃণমূল। মানুষের আস্থা ও ভালোবাসাও পেয়েছে।
গত পাঁচ মাসে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে কত কী লাভ হল সেই নিয়ে এবার তৃণমূলকে এক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। যেখানে বলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গে ক্রমশ হারানো জমি ফিরে পাচ্ছে তৃণমূল। কারণ, সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপির রণকৌশল। মানুষে মানুষে ধর্মের দোহাই দিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করা এই বিজেপিকে মানুষ ক্ষমতায় রাখবে না। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে। তাই মমতার পাশে থেকে হাতে হাত রেখে মানুষ উন্নয়নের পক্ষে আছেন। এখানে বিজেপির কোনো জায়গা নেই।
বিশ্বস্ত সূত্র এও জানাচ্ছে, প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই উত্তরে বেশ কিছু রদবদল করেছিলেন নেত্রী। যার ফল কার্যত হাতে-নাতে পেয়েছে দল। চা বাগান অধ্যুষিত এলাকা থেকে শুরু করে আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার। সব জায়গায়তেই ক্রমশ তৃণমূলের ওপর আস্থা ফিরে পাচ্ছেন মানুষ।