এনআরসির জেরে আসামে এক ধাক্কায় ঘরছাড়া হয়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ। এবার বাংলাতেও এনআরসি করার হুঙ্কার দিয়েছে বিজেপি।এর জেরে মানুষ আরও বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবিরের প্রতি। এবার কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রচারে সেই এনআরসিই বুমেরাং হয়ে উঠেছে বিজেপির কাছে। একদিকে যেমন প্রচার গিয়ে সুর নরম করছেন নেতারা অন্যদিকে এনআরসি নিয়ে এবার দলীয় কোন্দল লাগল বিজেপির অন্দরে।
এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা হুমায়ুন কবির। হুমায়ুন বলেন, “বাংলা থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর ক্ষমতা ওর নেই। এটা আদালতের আওতাভুক্ত”।
এনআরসি চালু করা যে ভোটে বুমেরাং হয়ে উঠতে পারে, সেই ভয় স্পষ্ট ফুটে উঠেছে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এবং রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরির বক্তব্যে। তাই নিজেদের নড়বড়ে খুঁটি দৃঢ় করতে এনআরসি নিয়ে হুমকির বদলে উল্টো সুর গাইতে হয়েছে দুই নেতা–নেত্রীকে।
প্রচারে গিয়ে এনআরসি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আবারও হিন্দুদেরকেই প্রাধান্য দেন রাহুল। তবে এই প্রসঙ্গে খুব বেশি কিছু বলতে পারেননি তাঁরা কারণ তার ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ক্ষুব্ধ হতে পারে, আর এমনিতেই গোষ্ঠী কোন্দল-সহ নানা সমস্যায় বিজেপি বিব্রত তার ওপরে সংখ্যালঘুদের চটিয়ে নিজদের ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব আটকানোর ধূর্ত চেষ্টা করেছে বিজেপি।তাই বাধ্য হয়েই এনআরসি নিয়ে সুর নরম করছেন রাহুলরা। যে এনআরসি দিয়ে সাধারণ মানুষকে এতদিন ভয় দেখিয়েছেন এবার সেই এনআরসিই বিজেপিকে আরও বিব্রত করে তুলছে।