অপুষ্টির ভারে যেখানে যোগী রাজ্য নুইয়ে পড়ছে সেখানে বাংলার চিত্রটা আলাদা। সেখানে অপুষ্টির খরা কাটছে যত দিন যাচ্ছে। ২০১১ এর তুলনায় বর্তমান পরিস্থিতিতে চিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। ২০১১-র আগে এ রাজ্যের একশোটা বাচ্চার মধ্যে ৩৪ টি বাচ্চা অপুষ্টির শিকার ছিল। আর এখন একশোজনের মধ্যে মাত্র আট জন অপুষ্টিতে ভুগছে। এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রী ডা. শশী পাঁজা।
তাঁর পর্যবেক্ষণ, অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে রাজ্য। অন্য রাজ্যের তুলনায় এখানে অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই অনেক বেশি জোরদার। কম ওজন বিশিষ্ট শিশুর সংখ্যা কমছে। সপ্তাহে একদিন সুপুষ্টি দিবস বা অন্নপ্রাশন দিবস পালিত হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়িতে। কোনও পরিবারে অপুষ্টির শিকার হওয়া শিশু থাকলে তাদের একশো দিনের কাজে বেশি কাজ দেওয়া হচ্ছে। অঙ্গনওয়ারি থেকে বাড়িতে খাবার যাচ্ছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে আরও বেশি শিশুবান্ধব করা হচ্ছে। টিকাকরণের হারও অনেক বেড়েছে রাজ্যে। মন্ত্রী জানান, কন্যাশ্রীর দৌলতে দ্বিতীয় পর্যায়ের ড্রপ আউট কমছে। আঠারোর আগে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে মেয়েরাই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে বিয়ে আটকাচ্ছে। তবে ভাবাচ্ছে অন্য একটা বিষয়, গ্রামেও স্থূল শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। শিশুরা চানাচুর, চিপস খাচ্ছে। মেবাইলে গেমস খেলা বাড়ছে। অভিভাবকরা নিজেদের সুবিধার জন্য বাচ্চার হাতে মোবাইল হাতে ধরাচ্ছে। তার জেরে স্থূলতার সমস্যা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ইউনিসেফের তরফে গ্লোবাল পোর্ট প্রকাশ করা হয়। এবারের থিম ‘খাদ্য ও পুষ্টি’। অপুষ্টির পাশাপাশি অতিপুষ্টির সমস্যার কথাও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। একদল কম খাচ্ছে বা পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। আর অন্য দল জাঙ্ক ফুডে ডুবে আছে। এটা ঠিক, আগের থেকে অপুষ্টির হার কমেছে। এখন ‘আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ বা শিশুর বুদ্ধির বিকাশ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।