লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটের এক হাওয়া উঠেছিল। সেই হাওয়া উঠেছিল বাংলার ২১-শের মঞ্চ থেকে। নির্বাচনের পর সেই হাওয়া কিছুটা থেমে গেলেও আবারও সেই হাওয়ায় পাল লেগেছে। এবার কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী নিজে ফের বিরোধীদের এক সুতোয় গাঁথার দায়িত্ব নিলেন। আগামী সোমবার দিল্লীতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া। তাতে বিভিন্ন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে দাবি কংগ্রেসের।
মূলত মোদী সরকারের আর্থিক নীতি, কাশ্মীর সমস্যা, ৩৭০ ধারা, কাশ্মীরে দেশের বিরোধীদের ঢুকতে না দেওয়া, অথচ ইউরোপের সাংসদদের জামাই আদরে নিয়ে যাওয়া, হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এজেন্সির ব্যবহার, এসব বিষয়ে মোদীর বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরির লক্ষ্যেই বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা করছেন সোনিয়া। তাছাড়া দ্বিতীয়বার সভানেত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই সোনিয়ার প্রথম বিরোধী দলের বৈঠক। তাই এই বৈঠক বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লোকসভার পর কীভাবে আগামীদিনে বিরোধী ঐক্য বজায় রাখা যায়, সেটাও আলোচনার বিষয় হতে পারে।
এই বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন তা স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত যা খবর শরদ পওয়ার মুম্বই থেকে উড়ে আসছেন। তিনি আজই দেখা করতে পারেন সোনিয়ার সঙ্গে। পওয়ার মূলত কথা বলবেন মহারাষ্ট্রের অচলাবস্থা নিয়ে। সরকার গড়তে শিব সেনাকে সমর্থন করা যাবে কিনা সেসব নিয়েও আলোচনা হবে। তৃণমূলের তরফেও জানানো হয়েছে, তাঁদের এক প্রতিনিধি সোনিয়ার ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। যদিও, আর কারা কারা উপস্থিত থাকছেন তা এখনই স্পষ্ট নয়। তবে, কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করছে, অনেক বিরোধী দলের নেতাই সোমবার দিল্লিতে এই বৈঠকে যোগ দেবেন।