উপত্যকায় কাজ করতে যাওয়া পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার কাশ্মীরে পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নামছে তৃণমূল। ৪ নভেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার ময়দানের বিড়লা তারামণ্ডল থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করবে তৃণমূল৷ যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমনই কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
এই প্রসঙ্গে শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কাশ্মীরে যেভাবে বাংলার ৫ জন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে, সেটা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি আমরা। ইতিমধ্যে ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দাবিকে সামনে রেখে আগামী ৪ তারিখ বিকেল ৫টায় বিড়লা তারামণ্ডল থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করা হবে।’
মঙ্গলবার মূর্শিদাবাদ থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া পাঁচ শ্রমিককে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল জঙ্গীরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হয় তাদের৷ এই ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত খুন আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘শ্রমিকরা ঘরে ফেরার জন্য বাক্স গুছিয়েছিল৷ তবে তার আগেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হল তাদের’৷
কংগ্রেস এবং সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বও ঘটনার নিন্দা করেছিল। এদিকে, এ ঘটনায় মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি আবার বলেছিলেন, কাশ্মীরে মৃতরা কেউ বাঙালি নন, যা নিয়ে সব মহলেই যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছিল।