ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত সংস্থায় সরকারি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা বিনিয়োগ করায়, এবার প্রশ্নের মুখে যোগী সরকার। দাউদ ইব্রাহিমের প্রাক্তন সহকারী ইকবাল মির্চির সঙ্গে যোগসাজশ থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই ওই সংস্থার প্রোমোটারদের জেরা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার পরেও ওই সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করা হল কেন, এই প্রশ্নই অস্বস্তি বাড়িয়েছে যোগী সরকারের।
একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) এবং কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট (সিপিএফ) মিলিয়ে ওই সংস্থায় মোট ২৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে উত্তরপ্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড (ইউপিপিসিএল)। বিষয়টি জানতে পেরেই সম্প্রতি প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীদের ইউনিয়ন। ইউপিপিসিএল-এর চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে জবাব চাওয়া হয়েছে দুই ইউনিয়নের তরফ থেকে।
কিন্তু এতেও অসন্তোষ কমছে না বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের। বরং যেনতেন প্রকারে ওই সংস্থা থেকে টাকা বার করে আনতে হবে বলে দাবি তুলেছে ইঞ্জিনিয়ার দের সংগঠন (ইউপিএসইবিইএ)। তাদের সাধারণ সম্পাদক রাজীবকুমার সিংহ বলেন, ‘ডিএইচএফএল-এ এখনও ১৬০০ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানতে পেরেছি আমরা। সরকারকে এই টাকা ফিরিয়ে আনতেই হবে।’ ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও বেসরকারি সংস্থায় জিপিএফ এবং সিপিএফ-এর টাকা বিনিয়োগ করা হবে না বলে সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে এ নিয়ে যোগী সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সাফাই দেওয়া হয়নি। কার মধ্যস্থতায় ওই সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করা হল, জানা যায়নি তা-ও।