টালা ব্রিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ নবান্নে বৈঠক ছিল।সেই বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ভেঙে ফেলা হবে টালা ব্রিজ, এমনটাই সূত্র মারফত খবর৷ এদিকে যদি টালাব্রিজ ভেঙে ফেলা হয় তাহলে বেশ কিছুটা অসুবিধা হবে বরাহনগর, ডানলপ, দমদম একাধিক এলাকার মানুষের৷ তবে মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় তাই বিকল্প যাতায়াতের কথাও ভাবছে রাজ্য সরকার।
সম্পূর্ণ ভাবে টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলা হলে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি থেকে বার করতে বিকল্প রুট বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিবহণ দফতরকে। জানা গেছে বদল করা হবে বেশ কিছু সরকারি বাসের রুটও। আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারি বাসের রুট পরিবর্তন হলেও বদল হবে না বাস ভাড়ায়। ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছলেও যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে না। যাত্রী দুর্ভোগ এড়াতে অতিরিক্ত রেক চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো রেল দফতর। সূত্রের খবর, অতিরিক্ত ১২ থেকে ১৩টি রেক চালানো হবে।
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছিল বিভিন্ন ব্রিজের স্বাস্থ্যপরীক্ষা। সেই সময়েই সামনে আসে টালা ব্রিজের বেহাল দশার কথা। প্রাথমিক ভাবে ব্রিজে ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। দুর্গাপুজো শুরুর আগে থেকেই টালা ব্রিজে বন্ধ হয়ে যায় বাস চলাচল। পঞ্চমীর দিন ব্রিজ পরিদর্শনে যান ব্রিজ বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না। তাঁর রিপোর্টেও টালা ব্রিজ সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে ফেলে নতুন ব্রিজ তৈরির সুপারিশ করা হয়। আর তারপরেই আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে সম্পূর্ণ ভাঙা হবে টালা ব্রিজ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও আজ এই বৈঠকে হাজির ছিলেন পুলিশ প্রশাসন এবং রেলের কর্তারা। জানা গিয়েছে, আগামীকাল টালা ব্রিজ পরিদর্শনে যাবে রেল এবং পূর্তদফতর। ব্রিজ পরিদর্শনের করে ১৫ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। এই রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই শুরু হবে ব্রিজ ভাঙার কাজ। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে টালা ব্রিজের যে অংশ রেলের আওতায় সেই অংশ ভাঙবে রেল। এবং রাজ্যের অধীনে থাকা অংশ ভাঙার দায়িত্ব থাকবে রাজ্য প্রশাসনের হাতে।