রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার জন্য হাতে আছে চার দিন। তা না করলে, যে কোনও দিন ফাঁসি হতে পারে নির্ভয়া গণধর্ষণ-কাণ্ডের চার সাজাপ্রাপ্ত আসামির। নোটিশ জারি করে এমনটাই জানিয়ে দিলেন তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ।
তিহাড় জেলের ডিরেক্টর জেনারেল সন্দীপ গোয়েল ওই নোটিসে বলেছেন, “নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজা পাওয়া চার জনের মধ্যে তিন জন তিহাড় জেলে রয়েছে। চতুর্থ জন রয়েছে মাণ্ডোলি জেলের ১৪ নম্বরে। চার জনকেই দায়রা আদালত মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টও সিলমোহর লাগিয়েছে সেই সিদ্ধান্তে। এই অবস্থায় চার জন সাজাপ্রাপ্তই ফাঁসির সাজা রদ করার আবেদন করে তা অন্য কোনও সাজায় পরিবর্তন করার আবেদন জানাতে পারত। জেল তাদের এ বিষয়ে জানিয়েছিল।”
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লীর মুনিরকা এলাকায় চলন্ত বাসের ভিতরে ২৩ বছর বয়সি প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ছয় দুষ্কৃতী। মারা যান ওই ছাত্রী। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জনের ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত রাম সিং জেলের ভিতরে আত্মহত্যা করে। এক দুষ্কৃতী নাবালক হওয়ার কারণে দু’মাস জুভেনাইল হোমে বন্দি থাকার পরে মুক্তি পায়।
জেল সূত্রের খবর, নির্ভয়া-কাণ্ডের চার জন সাজাপ্রাপ্তই মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারত সুপ্রিম কোর্টে, আদালতের রায়কে পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলতে পারত। ফাঁসির সাজার বদলে যাবজ্জীবনের আবেদনও করতে পারত সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে। কিন্তু চার জনের মধ্যে কেউই এই দুটোর মধ্যে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি।
সূত্রের খবর, চার জনের কেউই এত দিন ধরে কোনও পদক্ষেপ করছে না দেখে এই মঙ্গলবারই তিহাড় এবং মাণ্ডোলি জেল কর্তৃপক্ষ চার জনকেই এ বিষয়ে আলাদা করে নোটিস দেয়। নোটিসেই বলা ছিল, সাজাপ্রাপ্তরা আর সাত দিনের মধ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে পারবে রাষ্ট্রপতির কাছে। নইলে আর সময় নেই।