রাজধানীতে এই প্রথম বাতাসের মান ইমার্জেন্সি স্তরে পৌঁছে গেল। চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে শেষবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্যানেল শুক্রবার দিল্লী-এনসিআর এর জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল৷ ৫ নভেম্বর পর্যন্ত কোনও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই অঞ্চলের দূষণের মাত্রা সিভিয়র প্লাসে পৌঁছে গেছে৷ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ শীতকালে বাজি পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে৷
চলতি মরশুমে সর্বাধিক দূষণমাত্রার সাক্ষী রাজধানী। শুক্রবার ভোরে দিল্লীর বাতাসের মান নেমে যায় সিভিয়র প্লাস জোনে। সকাল আটটায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৪৫৯। দিল্লীর দূষণের জন্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানাকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে হাত জোড় করে এই ২ রাজ্যের কৃষকদের ফসলের অবশেষ না পোড়ানোর অনুরোধ করেন৷
বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লী ও এনসিআর-এ বাতাসের মান সিভিয়র প্লাস লেভেলে পৌঁছে গেছে৷ ইপিসিএ-র চেয়ারপার্সন ভুরে লাল উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও দিল্লির মুখ্য সচিবদের চিঠি দিয়ে এই কথা জানিয়েছেন৷ পঞ্জাব ও হরিয়ানার জন্যই দিল্লী গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ অরবিন্দ কেজরিয়ালের।
দিল্লী সরকার স্কুলপড়ুয়াদের জন্য ৫০ লক্ষ এন-৯৫ মাস্ক কিনেছে। এ দিন অরবিন্দ অভিযোগ করেন, “খাট্টার ও ক্যাপ্টেন সরকার চাষিদের স্টাবল পোড়াতে বাধ্য করছে। মানুষ শ্বাস নিতে পারছে না। আমরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের প্রতি পড়ুয়াকে দুটি করে মাস্ক দিচ্ছি”।