আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই প্রায় এটিএমে গিয়ে এইধরনের ঘটনার সম্মুখীন হই যে, অ্যাকাউন্টে টাকা রয়েছে অথচ টাকা উঠছে না। আবার কখনও অ্যাকাউন্ট থেকে যে টাকাটা তুললেন, তা আবার কেটে নেওয়া হয়েছে। এমন কাণ্ড ঘটলে এতদিন বলা হত যে, এক সপ্তাহের মধ্যেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। কিন্তু সব মানুষই যে সময়মতো টাকা পেয়ে যাচ্ছেন, এমনটাও নয়! সময়মতো তো দূরস্ত, কখনও কখনও অনেকে টাকাই পাচ্ছেন না। এবার এই সমস্যাই চিরতরে দূর করতে নতুন পন্থা নিয়ে হাজির হল আরবিআই।
আরবিআই-এর তরফে বলা হয়েছে, ‘এটিএম থেকে টাকা উঠছে না। অথচ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে অ্যাকাউন্ট থেকে। এমনতর অভিযোগ বহু মানুষই করেছেন।’ সঙ্গে আরবিআই-এর তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘নানান কারণে এই ধরনের কাণ্ড ঘটে থাকে। যার প্রথমটাই হল, লিঙ্কের বারংবার ব্যঘাত ঘটলে। এছাড়াও এটিএমে ক্যাশ না থাকলে, সেশনের টাইম আউট হয়ে গেলে, এছাড়াও রয়েছে আরও অন্যান্য কারণ।’
জনস্বার্থে আরবিআই-এর তরফে ঠিক যে বিষয়গুলি বলা হয়েছে-
১. কোনও কারণে গ্রাহকের টাকা কেটে নেওয়া হল, অথচ সেই টাকা তিনি হাতে পেলেন না, তাহলে সেই ব্যাঙ্কের উচিত সেই ব্যর্থ ট্রানজাকশন সংরক্ষণ করে রাখা আগামী পাঁচ দিনের জন্য। কিন্তু তা করতে যদি ওই ব্যাঙ্ক ব্যর্থ হয় তাহলে যতদিন না টাকা গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন রোজ ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২. কার্ড টু কার্ড ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও যদি এমনতর ঘটনা ঘটে, অর্থাৎ টাকা কেটে নেওয়া হল, কিন্তু যাঁর কাছে আদতে টাকা পৌঁছনোর কথা, তার কাছে গেলই না, সে ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে পরবর্তী ১ দিনের জন্য এই ট্রানজাকশন সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রেও ব্যাঙ্ক যদি তা না করে তাহলে সেখানেও টাকা ফিরিয়ে না দেওয়া অবধি রোজ ১০০ টাকা করে ব্যাঙ্কের তরফে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩. ইমিডিয়েট পেমেন্ট সিস্টেম বা (আইএমপিএস)-এর ক্ষেত্রে গ্রাহকের টাকা কেটে নেওয়া হল অথচ গ্রাহক যেখানে টাকা পাঠাচ্ছেন সেখানে টাকা পৌঁছল না, তাহলে ব্যাঙ্কে সেক্ষেত্রে ১ দিনের মধ্যেই অটো রিভার্সাল করতে হবে। অন্যত্র ১০০ টাকা করে রোজ গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪. পয়েন্ট অব সেলস বা (পিওএস)-এর ক্ষেত্রে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হল, অথচ মারচ্যান্টের লোকেশন থেকে কোনও কনফার্মেশন পেলেন না, সে ক্ষেত্রে ট্রানজাকশন পাঁচ দিনের মধ্যেই অটো রিভার্স হয়ে যাবে। এর অন্যথা হলেও ১০০ টাকা রোজ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে গ্রাহককে।