আগামী ৩০ নভেম্বর শুরু হবে চলতি মরশুমের আই লিগ। শুক্রবার দিল্লীতে ফেডারেশনের লিগ কমিটির সভায় এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আই লিগের সব ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার হবে কিনা তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
আগামী সপ্তাহে আই লিগের ক্লাবগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসছেন কুশল দাস ও সিইও সুনন্দ ধর। সেখানে আই লিগে অনূর্ধ্ব-২২ এজগ্রুপের কোটা আর টেলিকাস্ট পার্টনার নিয়ে আলোচনা হবে। এদিনের সভায় ঠিক হয় আই লিগ চলাকালীন মাত্র তিন বিদেশিকে পাল্টাতে পারবে ক্লাবগুলি। এদিনের সভায় দ্বিতীয় ডিভিসন আই লিগের দলগুলি চূড়ান্ত হয়েছে। বাংলা থেকে দ্বিতীয় ডিভিসনে খেলবে মহমেডান স্পোর্টিং ও ভবানীপুর ক্লাব। আই লিগে অ্যারোজের মতোই এবার দ্বিতীয় ডিভিসনে খেলবে ফেডারেশনের আরও একটি যুব দল।
এবার স্টার স্পোর্টস পুরো প্রতিযোগিতা সরাসরি দেখাতে চাইছে না। প্রতিটি দলের অর্ধেক ম্যাচ দেখাতে চাইছে। টেলিকাস্ট খরচ হিসেবে যে বিপুল খরচ হয় তা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। আই লিগের ক্লাবগুলি অর্থ দিলে সব ম্যাচ টেলিকাস্ট করার কথাও স্টার স্পোর্টস বলেছিল। গত বছর ফিরতি পর্ব থেকেই আই লিগের ম্যাচ দেখানো নিয়ে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। কারণ দুই প্রধান ছাড়া আর কোনও দলের ম্যাচে বিরতিতে বিজ্ঞাপন বাবদ আয় আশাপ্রদ নয়। ফেডারেশন আই লিগের স্লটও প্রাইম টাইমে দেয় না।
আই লিগের জোটের ক্লাবগুলি তখন ম্যাচ দেখানোর জন্য বিকল্প চ্যানেলের দাবি তুলেছিল। যদিও সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি এনওসি না দিলে তা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এই জটিলতা দূর করতেই সুকৌশলে প্রায় এক মাস সময় হাতে রাখল লিগ কমিটি। যদিও সভার পর লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত জানালেন, “আগামী সাত- দশ দিনের মধ্যে আমরা আই লিগের টেলিকাস্ট পার্টনারের নাম জানাতে পারব”।