বরুণ সেনগুপ্তর পরিবারের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্ক। শুভা দত্তর সঙ্গে তো বটেই। বর্তমান পত্রিকার সম্পাদকের মৃত্যুর খবরে অ্যাপোলো হাসপাতালে ছুটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তখন পৌঁছে গেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুজিত বসুরা। মমতা সবার সঙ্গে কথা বলেন। বিশেষত শুভা দত্তর আত্মীয়দের সঙ্গে। এরপর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান। তারপর উত্তরবঙ্গ সফরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। মমতার তরফ থেকে শোকবার্তাও দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘বর্তমান-এর সম্পাদক শুভা দত্তের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। আজ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি প্রয়াত হন। ‘বর্তমান’-এর প্রতিষ্ঠাতা বরুণদার পর শুভাদি ছিলেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ‘বর্তমান’ আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে। শুভাদির সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হত। উনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন। তাঁর চলে যাওয়া আমার কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি ‘বর্তমান’ সংবাদপত্রের অনুরাগী, পাঠক, পরিবারের সদস্য বিশেষ করে রূপাঞ্জনা, বিবেক, অভিজিৎ, মঞ্জিমাকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি’।
গত এগারো বছর ধরে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকা বর্তমানের সম্পাদকের পদ সামলাচ্ছিলেন তিনি। বর্তমানের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর প্রয়াণের পর ২০০৮ সাল থেকে সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন শুভা দত্ত। তাঁর মতো সহানুভূতিশীল সম্পাদককে হারিয়ে শোকস্তব্ধ বর্তমানের কর্মীরা।