“ আমি গাড়িতে উঠে যাচ্ছি, হর্ন বাজাবেন না”, ব্যাস এতটুকুই বলেছিলেন ডার্ক সিকিউরিটি এজেন্সির অন্যতম মালিক রমেশ পহেল। যার খেসারত তাঁকে দিতে হল প্রাণের বিনিময়ে। যার উদ্দেশ্যে তিনি ওই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি গাড়ি থেকে নেমে রমেশ বাবুকে এমন ভাবে থাপ্পড় মারেন যার জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি কলকাতার অন্যতম অভিজাত এলাকা ভবানীপুরের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠছিলেন ডার্ক সিকিউরিটি এজেন্সির অন্যতম মালিক রমেশ পহেল। বাড়িতে চলছিল করবা চৌথের অনুষ্ঠান। কিন্তু অফিসে বিশেষ কাজ থাকায় রমেশবাবুকে বেরোতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে পূজা। তাঁর বক্তব্য, “বাবার স্পন্ডেলাইসিস ছিল। হাঁটতে চলতে অসুবিধেই হতো। গাড়িতে উঠতে একটু সময় লাগছিল। পিছনের একটি গাড়ি অনবরত হর্ণ বাজাতে থাকে। বাবা বলেন, গাড়িতে উঠে যাচ্ছেন। দয়া করে হর্ণ বাজাবেন না। এরপরই ওই গাড়ি থেকে এক ভদ্রলোক নেমে এসে বাবাকে থাপ্পড় মারেন। বাবা পড়ে যান। গাড়ি ঘুরিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। বাবাকে একটি স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত রমেশ পহেলের স্ত্রী বলেন, “বাড়িতে করবা চৌথের অনুষ্ঠান চলছিল। আমি উপোস করে ছিলাম। মানুষটা ফিরলে মিষ্টি খাওয়াব বলে সাজিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু এমন ঘটনা হবে ভাবিনি।”
পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। হয়েছে। সূত্রের খবর একটি পেট্রল পাম্প এবং একটি বড় রাস্তার মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। যাতে দেখা গিয়েছে বেলা একটা নাগাদ ওই গাড়িটি পালাচ্ছে। স্বজন হারিয়ে পহেল পরিবারের এখন একটাই চাওয়া—শাস্তি হোক অভিযুক্তের। পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। যাতে এ শহরে আর কাউকে এ ভাবে আর মরতে না হয়।