আর্থিক মন্দার কবলে দেশের অর্থনীতি। ঘাটতি দেখা দিয়েছে জিএসটি সংগ্রহেও। সেপ্টেম্বরে জিএসটি খাতে রাজকোষে যা ঢুকেছে, সেটা গত ১৯ মাসের তুলনায় সবচেয়ে কম। খোদ মোদী সরকারের নতুন রিপোর্টেই প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। গত মাসে জিএসটি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ৯১,৯১৬ কোটি। তার মধ্যে সিজিএসটি ১৬,৬৩০ কোটি, এসজিএসটি ২২,৫৯৮ কোটি এবং আইজিএসটি ৪৫,০৬৯ কোটি টাকা। গত বছর ঠিক এই সময়ে জিএসটি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল মোট ৯৪,৪৪২ কোটি। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় জিএসটি সংগ্রহ প্রায় ২.৮ শতাংশ কমে গিয়ে গত বছরের তুলনায়। শুধু তাই নয়, রপ্তানি ওপর ধার্য করা জিএসটি থেকে যা আয় হয়, তার পরিমানও অনেকটাই কমেছে। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর। রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে সুরাহার পথ খোঁজার চেষ্টা চলছে।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, জিএসটি সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য নানা বিষয় খতিয়ে দেখতে তৈরি হয়েছে ১২ সদস্যের একটি কমিটি। তাতে কেন্দ্রের পাঁচ জন ও পাঁচ রাজ্যের জিএসটি পরিষদের কমিশনারদের রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাও। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এমনিতেই অর্থনীতি চাঙ্গা করার চেষ্টায় কেন্দ্রের নানা পদক্ষেপে বাড়ছে খরচ। তার ওপরে জিএসটি থেকে আয় কমলে যে রাজকোষ ঘাটতি বেলাগাম হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে, তা বিলক্ষণ বুঝছে সরকার। আর তার ফলেই প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বৈঠক করেন রাজস্ব সচিবের সঙ্গে। রাজ্যের অফিসারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন ক্যাবিনেট সচিবও। করের ভিত্তি বৃদ্ধি, কর ফাঁকি রোখা, কাঁচামালে মেটানো কর ফেরতের সুবিধার অপব্যবহার আটকানো, আরও কড়া নজরদারি ও পরিসংখ্যানের আরও সুনির্দিষ্ট প্রয়োগ মারফত কী করে আদায় বাড়ানো যায়, তা নিয়েই রাজ্যের পরামর্শ চাওয়া হয়।