উত্তাল হয়ে উঠেছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ-সহ বেশ কয়েকটি শহরে উত্তাল হয়ে উঠেছে। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে কেঁপে উঠেছে ইরাক। সেখানে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানোর পাশাপাশি টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ছে। এর জেরে হংকং-এর থেকেও ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। গত তিনদিনে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩৩ জন। আহত হয়েছেন ১৫০০ হাজারের বেশি মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী-সহ অন্যান্য মন্ত্রী এবং সরকারি আমলাদের অত্যাধিক দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং সরকারি অনুদান ও চাকরির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইরাক। টানা চারদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত বুধবার বর্তমান সরকারের পতন চেয়ে বাগদাদের রাস্তায় মিছিল করেন হাজার হাজার মানুষ। তেহরিক স্কোয়্যারে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। রাষ্ট্রপতি বারহাম সালিহের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের আটকাতে রাস্তায় ব্যারিকেড করে রাখার পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসও ছোঁড়ে পুলিশ। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নাগরিকরা। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপরই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে পুলিশ। এর জেরে বুধবারই কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন প্রায় ৭০০ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদির নির্দেশে বাগদাদে কারফিউ জারি করে প্রশাসন। ইন্টারনেট-সহ বর্হিজগতের সঙ্গে যোগাযোগের সবরকম মাধ্যমও বন্ধ করে দেয়। বিক্ষোভ দেখানোর জেরে গ্রেপ্তার করা হয় ৪ হাজার মানুষকে। তারপর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। গত দু’দিনে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জখম হয়েছেন আরও ৮০০-এর বেশি মানুষ। তারপরও বিক্ষোভের ঝাঁজ ক্রমশ বাড়ছে ইরাকজুড়ে।