রাজ্য যাতে শিল্পের দিক থেকে পিছিয়ে না থাকে তার জন্য সবসময় উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পের জন্য ছুটছেন দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে। শিল্পপতিদের নিয়ে এসেছেন রাজ্যে। এবার শিল্পে উৎসাহ দিতে শিল্পপতি থেকে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিলেন মমতা। কমানো হল ফায়ার লাইসেন্স ফি। একধাক্কায় ৯২ শতাংশ কমানো হল এই লাইসেন্স ফি। এরফলে শপিং মল থেকে হাসপাতাল, সর্বত্র কমে গেল ফায়ার লাইসেন্স ফি।
নতুন আবাসন তৈরি করাই হোক বা নতুন কোনও ব্যবসা, কিংবা নতুন হোটেল, হাসপাতাল খুলতে গেলে প্রত্যেককে এই ফায়ার লাইসেন্স নিতে হয়। এখন এতদিন খুব বেশি ছিল এই লাইসেন্স ফি-র টাকা। এই নিয়ে বার বারই বিভিন্ন মহল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে হাজির হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শিল্প সম্মেলন, বার বারই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই ফায়ার লাইসেন্স কমানোর দাবি এসেছে। শিল্পপতি থেকে নার্সিংহোম মালিক, সবারই এক বক্তব্য ছিল যে, এই ফি কমানো হোক। ফি অত্যধিক বেশি।
অবশেষে আজ মন্ত্রীসভার বৈঠকে সেইসব দাবি মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফায়ার লাইসেন্স ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ফি কমানোর পক্ষে সওয়াল করেন। কী কারণে কেন এত টাকা লাইসেন্স ফি দিতে হবে? মন্ত্রীসভার বৈঠকে নিজেই সেই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পে উৎসাহ দিতে শেষে এই ফি একধাক্কায় ৯২ শতাংশ কমানোর পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। এরফলে ছোট ব্যবসায়ীরা বেশি উপকৃত হবেন বলে আশা। পাশাপাশি, উপকৃত হবেন আবাসন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, লাইব্রেরি, আর্ট গ্যালারির ক্ষেত্রে প্রতি বর্গ মিটার ৫৩ টাকা ৮ পয়সা ফি থেকে কমে করা হল ৪ টাকা। অপরদিকে, হাসপাতাল, নার্সিংহোমের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গ মিটার ৮০ টাকা ৭ পয়সা থেকে কমে করা হল ৮ টাকা ৭ পয়সা।
শপিং মল, বিমানবন্দর, বন্দরের ক্ষেত্রে এখন ৮ টাকা ৭ পয়সা ধার্য করা হয়েছে। বড় কারখানার ক্ষেত্রে সেটা কমে ১৪ টাকা ৫ পয়সা প্রতি বর্গ মিটার। এই সিদ্ধান্তের পরে খুশির হাওয়া রাজ্যের শিল্পপতিদের মধ্যে।