ক্যাম্পাসে পৌঁছানো কোনো নেতা-মন্ত্রীকে ঘিরে যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি-দাওয়া নতুন নয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে রীতিমতো নড়েচড়ে বসলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। নতুন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে পারেন তাঁরা এমনই ইঙ্গিত মিলছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের সভা করার ওপর বিধিনিষেধ চাপানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে বলে জানা গেছে।
তবে সামনেই পুজোর ছুটি। তাই তার আগে এইধরণের কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজনৈতিক নেতাদের যে কোনও অনুষ্ঠান তো করা যাবেই না, সেইসঙ্গে সম্পত্তি নষ্ট করলেও সঙ্গেসঙ্গে করা হবে এফআইআর। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ভিডিয়োগ্রাফার নিয়োগ করবে বলেও জানা গিয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেদিনের ঘটনা নিয়ে মূলত উপাচার্যর ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে একটি ছোট রিপোর্ট পাঠাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাতে বাবুলের নিগ্রহের নিন্দা করা হলেও তার চেয়ে বেশি সমালোচনা করা হয়েছে সেদিন ক্যাম্পাসে এবিভিপি-র তাণ্ডব নিয়ে। যা নিয়ে অনেকেরই অভিমত, সেদিনের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য ও অবস্থানকে কোনওভাবেই সমর্থনের পথে হাঁটতে রাজি নন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর তারপরই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে যাদবপুরের অন্দরে।