বহুদিন যাবৎ উৎকণ্ঠা দানা বাঁধছিল আসাম জুড়ে। অবশেষে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা। যা থেকে বাদ গিয়েছে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম। এখন এঁরা সকলেই ‘নিজভূমে পরবাসী’। এ নিয়েই এবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং আসামের বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করল কংগ্রেস।
তাদের দাবি, তালিকা থেকে বাদ পড়া মানুষগুলিকে নিয়ে কী করা হবে? কোথায় রাখা হবে? এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও নীতিই নেই সরকারের। একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, ‘ভারত সরকারের মন্ত্রীরা বাংলাদেশে গিয়ে বলে এলেন এনআরসি একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কাউকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে না। তাহলে যাঁদের নাম তালিকায় নেই, তাঁদের নিয়ে কী করা হবে? ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে? জেলে পোরা হবে? নাকি মাঠে-ঘাটে বসিয়ে রাখা হবে? এ ব্যাপারে সরকারের কোনও স্পষ্ট নীতি নেই।’ শুধু তাই নয়।
তাঁরা এ-ও বলছেন যে, এই এনআরসি করতে গিয়ে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। এর মধ্যে ১৪ লক্ষ হিন্দু এবং ৫ লক্ষ মুসলমান। অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক মেরুকরনকে তীব্র করতেই এই পথে হাঁটছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করেছে হাত শিবির। অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রী যে চন্দ্রযানকে সামনে রেখে নিজের ঢাক পেটাচ্ছেন, সেই ইসরোর বিজ্ঞানীর নাম বাদ তালিকা থেকে। সবাই নাকি বিদেশি! কার্গিলে যাঁরা সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন, তাঁরা বিদেশি! ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ-এর পরিবার বিদেশি!’