গাড়ি বিক্রিতে ভাঁটা চলছে। উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে গাড়ি নিয়ে মোদী সরকারের নিয়মের কড়াকড়িকে দায়ী করলেন গাড়ি নির্মাণ সংস্থা মারুতির চেয়ারম্যান রবীন্দ্রচন্দ্র ভার্গব। তাঁর কথায়, ‘নিয়মের কড়াকড়িতে গাড়ির দাম যে ভাবে বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে নির্মাতা সংস্থাগুলি, সে দামে কেনার সামর্থ্য ক্রেতাদের নেই’।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভার্গব জানিয়েছেন, যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে ইদানীং গাড়িতে এয়ার ব্যাগ, অ্যান্টি লক ব্রেকিং প্রযুক্তি বসাতে হচ্ছে। তাতে সাধারণ গাড়ির দামও একলাফে অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। তাই গাড়ি কেনা এবং তার দেখভাল খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দু’চাকার গাড়ি নিয়েই দিব্যি রয়েছেন মধ্যবিত্তরা, চার চাকার দিকে ঝোঁকার কথা ভাবছেনও না। যে কারণে মারুতি অল্টোর মতো গাড়ির বিক্রিও ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
ভার্গবের কথায়, আজকাল পেট্রোল-ডিজেলের উপরও চড়া হারে কর দিতে হয়। রাস্তায় গাড়ি নামালেই কর দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। সেই সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন বাবদ আলাদা খরচ। এত করের চাপে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। অস্থায়ী ভাবে সরকার জিএসটিতে ছাড় দিলেও, এই পরিস্থিতি সহজে বদলাবে না।
ভার্গব আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা প্রযুক্তি এবং কর বাবদ সাধারণ গাড়ির দামই এক ধাক্কায় ৫৫ হাজার টাকা বেড়ে গিয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু রাজ্যে রাস্তার করই দিতে হয় ২০ হাজার টাকা। আর ব্যাঙ্কের অফিসাররাও ঋণ দেওয়ার সময় ঝুঁকি নিতে চান না’।