সোনাজয়ী প্রতিশ্রুতিমান কিশোরী সাঁতারুকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বাংলার কিশোরীকে যৌন হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। এমন খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কোচ। শুক্রবার সন্ধেয় দিল্লী থেকে তাঁকে যৌথভাবে গ্রেপ্তার করে গোয়া এবং দিল্লী পুলিশ।
অভিযুক্ত কোচের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৫৪ (যৌন হেনস্তা) এবং ৫০৬ (সমাজবিরোধী কার্যকলাপ) নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাপুসা থানা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিভিন্ন শহরে পালিয়ে গ্রেপ্তারি এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সুরজিৎ। তাঁর দুটো ফোনই সুইচড অফ ছিল। তাঁকে খুঁজে বের করার জন্য তৈরি হয় একটি বিশেষ দল। যেখানে ছিলেন উত্তর গোয়ার পুলিশ সুপার উৎকৃষ্ট প্রসূন, মাপুসার এসডিপিও গজানন্দ প্রভুদেশাই এবং ইনস্পেক্টর কপিল নায়েক। ভোপাল, বেঙ্গালুরুর মতো বেশ কয়েকটি শহরে তল্লাশি চালায় বিশেষ দলটি। ভারতের প্রত্যেক শহরের পুলিশকেও এবিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। অবশেষে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় দিল্লির কাশ্মীরি গেট। সেখানেই দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে গোয়া পুলিশ বলেই খবর।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মাস ধরে যৌন হেনস্তার শিকার হচ্ছে বাংলার ওই প্রতিশ্রুতিমান কিশোরী সাঁতারু। কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নানা অছিলায় শরীর স্পর্শ করছেন তার, এমন বিস্ফোরক অভিযোগই এনেছে ওই কিশোরী। তবে আগোচরে হওয়া ওই ঘটনাকে সবার সামনে তুলতে ধরতে যে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়। নিজেই নিজের মোবাইলে কোচের যৌন হেনস্তার ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করেছে। কারণ, সেই ভিডিওই তার প্রতি হওয়া দীর্ঘ দিনের অশালীন আচরণের জ্বলন্ত প্রমাণ। তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেই সাহায্য চাইল বাংলার প্রতিশ্রুতিমান ওই সাঁতারু। গত ৪ আগস্ট বাংলার সোনাজয়ী সাঁতারুর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়া সরগরম হয়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় যৌন হেনস্তার ভিডিওটি। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেন কিশোরীর বাবা-মা। দু’দিন পর অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল তাঁকে।