২০১২ সালে বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন মোবাইল ফোনে পর্ন দেখায় মশগুল থাকতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির তিন মন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভরি, সিসি পাটিল এবং কৃষ্ণ পালেমারকে। হাতেনাতে ধরা পড়ার পরই কর্ণাটক মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তাঁরা। সেই ঘটনার ৭ বছর পর সম্প্রতি ওই তিন ‘দাগি’র দু’জন পাটিল এবং সাভরিকে ফের মন্ত্রীসভায় জায়গা দিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। সাভরিকে করা হয়েছে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীও। এ নিয়ে বিতর্ক জোরদার হতেই এবার তাঁর পক্ষে সওয়াল করেই নিজের মত জানালেন রাজ্যের আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জেসি মধুস্বামীর। তাঁর মতে, বিধানসভায় বসে মোবাইলে পর্ন দেখাটা দেশবিরোধী কাজ নয়।
প্রসঙ্গত, সাভরি উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কিছুতেই মিটছে না পর্ন বিতর্ক। সে প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার মধুস্বামী বলেন, ‘এটা একটা ভুল ছিল। তবে সেই জন্য তাঁকে এখন মন্ত্রী করা যাবে না, এমন কোনও দাবি বা বিতর্ক উঠতেই পারে না।’ সাভরির হয়ে তাঁর সাফাই, ‘এমন ভিডিও দেখাটা নৈতিকভাবে অনুচিত। আচমকা তাঁর ফোনে তা খুলে যায় এবং তিনি সেটা দেখেন। তিনি কারওকে ঠকাননি, কোনও দেশবিরোধী কাজ করেননি। আমি বলছি না যে পর্ন ভিডিও দেখাটা ঠিক, আমি শুধু বলছি এই কারণে সাভরির সমালোচনা করাটা ঠিক নয়।’ শুধু তাই নয়। সাভরিকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা অমিত শাহ আমাদের সবার থেকে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। তিনি জানেন কাকে কোন কাজে লাগাতে হবে।’ তবে আইনমন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যের পর বিতর্ক কমা বই আরও বেড়েছে।