মোদী সরকার এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত জনবিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল এনআরসি। যার জেরে আসামে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন বহু মানুষ। চূড়ান্ত এনআরসি তালিকায় নাম নেই ১৯ লক্ষ মানুষের। কে নেই সেই বাদের তালিকায়। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিবার থেকে বিরোধী দলের বিধায়ক, কারগিল যোদ্ধা, স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিজন। ধীরে ধীরে শাসকপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে ভুক্তভোগীদের। এবার সেই বাদের তালিকায় সংযোজন হল স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের।
যোগেশ দেবকে স্বাধীনতা সংগ্রামীর শংসাপত্র দিয়েছিল ভারত সরকার। ১৯৭১ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের নাম ছিল। মোদী সরকারের অনৈতিক পদক্ষেপেব স্বাধীনতা সংগ্রামীর বংশধরই আজ নিজ দেশে, নিজ ভূমে পরাধীন। ঘটনার কথা সামনে আসতেই তাজ্জব সকলে। যে মানুষটি দেশের জন্যে লড়েছেন, তাঁর পরিবারই নাকি গণ্য হচ্ছেন বিদেশি বলে।
শ্রীহট্টে জন্ম স্বাধীনতা সংগ্রামী যোগেশ দেবের। পড়াশোনার জন্য মূল আসামে আসেন তিনি। তবে কলেজে পড়াশোনার মাঝেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্ত হন। ১৯৪২ সালে গান্ধীজির ডাকা ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সামিল হন। অসমে ভাষা আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের নাম ছিল। যোগেশ দেবকে স্বাধীনতা সংগ্রামীর শংসাপত্র দিয়েছিল ভারত সরকার। তাঁর তিন ছেলে জগদীশ, দিলীপ এবং জ্যোতির্ময়ের মধ্যে বড় ছেলে প্রয়াত। তবে ৩১ অগস্ট প্রকাশিত হওয়া এনআরসি তালিকায় জায়গা পায়নি যোগেশ দেবের পরিবারের নাম। উধাও জ্যোতির্ময় ও দিলীপের পরিবারের নাম। স্বাধীনতা সংগ্রামীর বংশধরই আজ ‘স্বদেশে পরাধীন’।