এ যেন সরষের মধ্যেই ভূত! এনআইএ-র এক কনস্টেবলের কাছ থেকে প্রায় উদ্ধার হল কোটি টাকার জাল নোট। জাল নোট মিলেছে এনআইএ-র এক প্যান্ট্রি স্টাফের কাছেও। উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ সবমিলিয়ে দেড় কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্ট্রং রুম থেকে ওই জাল টাকা চুরি করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে দিল্লী পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সিটিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে সম্প্রতি স্ট্রংরুম থেকে জাল টাকা হাতানোর ঘটনা সামনে আসে। তার পরেই এনআইএ’র তরফে ওই দু-জনের নামে এফআইআর করা হয়। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
বাজারে যে জালনোট ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে, তা নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করা আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট। ডিমনিটাইজেশনের পর বাজারে দু-হাজার টাকার নতুন নোটের সঙ্গে পাঁচশো টাকার নোটও ছেড়েছিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। দাবি করা হয়েছিল, নয়া নোট সহজে জাল করা যাবে না। কিন্তু, আরবিআই বার্ষিক যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তা সাধারণের জন্য উদ্বেগজনকই।
এনআইএ’র এক সূত্র জানাচ্ছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল আসল নোট ভেবেই সকলের অগোচরে গত সপ্তাহে ওই জাল টাকা হাতিয়েছিল। গত মে মাসে গুরুগ্রামে রেইড করে ওই ভুয়ো টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন এনআইএর গোয়েন্দা। সেই জাল টাকা থেকেই চুরি করা হয়েছিল।
রিপোর্ট বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২১,৮৬৫টি জালনোট আরবিআইয়ের হাতে এসেছে। অন্য দিকে, এক অর্থবছরে নয়া ২০০০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ২২ শতাংশ। জাল হচ্ছে নয়া ২০০ টাকার নোটও। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নয়া ২০০-র ১২,৭২৮টি জাল নোট আরবিআই পেয়েছে।