আবারও নজির গড়লেন সেরেনা। ইউএস ওপেনের সেমি-ফাইনালে পৌঁছালেন সেরেনা উইলিয়ামস। মেয়েদের সিঙ্গলসের কোয়ার্টার-ফাইনালে সহজ জয় পেয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী মার্কিন তারকা। মাত্র ৪৪ মিনিটেই তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন চীনের ওয়াং কিয়াংকে। সেই সঙ্গে ইউএস ওপেনে জয়ের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অষ্টম বাছাই সেরেনা। তিনি জেতেন ৬-১, ৬-০ স্ট্রেট সেটে। কেরিয়ারের ২৪তম গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেতাবের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা সেরেনা শেষ চারে মুখোমুখি হবেন ইউক্রেনের পঞ্চম বাছাই খেলোয়াড় এলিনা ভিটোলিনার। ব্রিটেনের ইয়োহানা কন্তাকে ৬-৪, ৬-৪ স্ট্রেট সেটে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছেন ভিটোলিনা।
নিজের এই শততম জয় পেতে সেরেনার লাগল ৪৪ মিনিট। সাতাশ বছরের চিনা প্রতিপক্ষ ওয়াং কুইয়াংকে ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক হারালেন ৬-১, ৬-০ সেটে। এ বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে কোনও ম্যাচ এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়নি। শততম ম্যাচ জিতে সেরিনা ক্রিস এভার্টের নিউ ইয়র্কে একশো ম্যাচ জয়ের ক্লাবে নাম লেখালেন। বললেন, ‘‘সত্যিই ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য। মনে হয়, প্রথম এখানে খেলেছিলাম ১৬ বছর বয়সে। তখন একবারের জন্যও ভাবিনি ১০০ ম্যাচ কোনও দিন জিতব।’
প্রায় দুই যুগের টেনিস কেরিয়ারে বহু কীর্তির স্বাদ পেয়েছেন সেরেনা। চলতি ইউএস ওপেনে আরও একটা সাদা পালক যোগ হল তাঁর মুকুটে। ফ্লাশিং মিডোয় শততম জয় তুলে নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত সেরেনা। এর আগে ইউএস ওপেনের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম জয় তুলে নিয়েছিলেন আর এক মার্কিন তারকা ক্রিস ইভার্ট। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে স্পর্শ করলেন সেরেনা।
গত রবিবার চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে নেটের দিকে দৌড়ে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে ডান হাঁটুতে আঘাত পেয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। সেই চোট নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে ছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। কিন্তু ওয়াং কিয়াংয়ের বিরুদ্ধে এদিন সেই দুশ্চিন্তাকে কোর্টে বাইরে ফেলে হেলায় জয় তুলে নিলেন সেরেনা। মাত্র ৪৪ মিনিটেই নিশ্চিত করলেন জয়। ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত দাপটে খেলতে থাকেন তিনি। সেরেনার সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ১৮তম বাছাই ওয়াং কিয়াং। উল্লেখ্য, ইউএস ওপেনের গত আসরের ফাইনালে জাপানের নাওমি ওসাকার কাছে হেরেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। ওই ফাইনালে রেফারির সঙ্গে বিতর্কিত আচরণ করে দারুণ সমালোচিতও হয়েছিলেন তিনি। এবার তারই মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছেন মার্কিন কন্যা।