চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের ইতিহাসে এক বিভীষিকাময় দিন। আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় সেদিন ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল ৪০ সেনা জওয়ানের দেহ। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল এই ঘটনা যে ঘটতে পারে তা অনেক আগেই জানিয়ে ছিল গোয়েন্দারা। তবে সম্প্রতি ঘটনার তদন্তের পর সিআরপিএফের তরফে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা রিপোর্টের ব্যর্থতার জন্যই ঘটেছে এত বড় একটি জঙ্গি হামলা।
এদিন সিআরপিএফের তরফে পেশ করা তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ওই হামলার আগে গোয়েন্দাদের তরফে একটি সাধারণ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল যে আইইডি হামলা হতে পারে। তবে এই সতর্কবার্তা ছিল একেবারেই সাধারণ। আলাদাভাবে এমন কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি যে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এর জেরেই আলাদাভাবে কোনও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়নি। আর এই রিপোর্টে স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
শুধু তাই নয়, রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, ওইদিন কনভয়ে গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি থাকলেও দুটি গাড়ির মধ্যে যথেষ্ট দুরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা হচ্ছিল। সিআরপিএফের পেশ করা এক ফুটেজে দেখা গিয়েছে, যখন হামলা চালানোর চেষ্টা হয় তখন সেই হামলা রুখে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন এক জওয়ান। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। সিআরপিএফের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই হামলা হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে রিপোর্ট পেশ করে তা ঠিক ছিল না। গোয়েন্দা রিপোর্টের ব্যর্থতাতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।