মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ক্ষমতায় আসার পরে পর্যটন শিল্পের প্রভূত উন্নতি হয়েছে৷ দীঘাকে বিশ্বমানের করে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা৷ দার্জিলিংও হয়ে উঠেছে মোহময়ী৷ এবার হুগলির সবুজ দ্বীপে গড়ে তোলা হবে পর্যটনকেন্দ্র৷
ক্ষমতায় আসার পর পরই সবুজ দ্বীপকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মানের ইকো-টুরিজম কেন্দ্র গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি হুগলি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গে কাজ এগোনোর নির্দেশ দেন মমতা৷ এর ফলে গত ২৮ অগস্ট টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ১০ কোটি টাকা। তদারক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হুগলির জেলাশাসক রত্নাকর রাওকে।
নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা মেনে ভাগীরথীর নদীর বুকে গড়ে ওঠা সবুজ দ্বীপে ইকো টুরিজম কেন্দ্র বানানোর জন্য শিখারিয়া গ্রুপ নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে এর আগে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পুরো কাজটা হওয়ার কথা ছিল ‘পিপিপি’ মডেলে। সেই মতো ৩০ বছরের জন্য সংস্থাটিকে সবুজ দ্বীপের জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ ও অন্যান্য বিধিনিষেধ মেনে ২০১৭ সালের মার্চে কটেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু সংস্থাটির বিরুদ্ধে গাছ কাটা-সহ সবুজ দ্বীপের পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ ওঠায় মাঝপথে তাদের কাজ বন্ধ করে দেয় পর্যটন দফতর। মমতার নির্দেশের পরেই এবার ফের কাজ শুরু হল সাগরদ্বীপে৷
পর্যটন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন সোমবার জানান, সবুজ দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য বিশেষ ধরনের পরিবেশ বান্ধব কটেজ তৈরি হবে৷ তৈরি হবে আধুনিক মানের রেস্তোরাঁ, ইকো পার্ক, খেলার মাঠ ও গল্ফ কোর্স। সবুজ দ্বীপে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে বাইরে থেকে। তাদের দেখার জন্য ওয়াচ টাওয়ার বানানো হবে। মূল ভূখণ্ড থেকে সবুজ দ্বীপে যেতে নিয়মিত ফেরি সার্ভিস চালু থাকবে। সেই জন্য ইতিমধ্যেই নতুন জেটি বানানো হয়েছে। সবুজ দ্বীপে রাস্তা তৈরি হয়েছে, দেওয়া হয়েছে আলো।
ইন্দ্রনীল আরও বলেন, ‘কটেজ তৈরি হয়ে গেলে পর্যটকেরা সবুজ দ্বীপে এসে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটাতে পারবেন। পিকনিক স্পট হিসেবে সবুজ দ্বীপের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।’