বিধায়কদের পরে এ বার দলের সাংসদদেরও ‘দিদিকে বলো’ নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে কালীঘাটের বৈঠকে তিনি সাংসদদের বলেছেন, মাসে অন্তত পাঁচ দিন জনসংযোগের জন্য সময় বের করতে হবে তাঁদের।
কোন সাংসদ কবে কোথায় প্রচারে যাবেন, তা অবশ্য পরে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সাংসদেরা যাতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে রাত কাটিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে পারেন, সে জন্য জেলা সভাপতি এবং জেলা সভাধিপতিদেরও সাংসদদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
বুথে বুথে জনসংযোগ বাড়িয়ে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে বরাবরই পরামর্শ দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বৈঠকের আগে প্রশান্ত ও অভিষেকের উপস্থিতিতে জেলা সভাপতিদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে সব জেলায় দলের এক জন করে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মীকে টিম পিকে-র সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন ‘কো-অর্ডিনেটর’। রাজ্যের সঙ্গে জেলার কাজের সমন্বয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে এই কো-অর্ডিনেটরদের।
সংসদের অধিবেশন চলাকালীন লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দলের সাংসদদের মধ্যে কে কোন বিষয়ে কী বলবেন, সে ব্যাপারে সমন্বয় রাখার জন্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দীনেশ ত্রিবেদীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সমন্বয় রাখার কাজ করবেন সুদীপ এবং দীনেশ। এর বাইরে কয়েকটি রাজ্যে জোড়াফুলের সংগঠন বিস্তারের দিকে বিশেষ নজর দিতে চাইছেন মমতা। সে জন্য আসাম, ত্রিপুরা-সহ উত্তরপূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে। উড়িশ্যায় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাংসদ মানস ভুঁইয়াকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। ঝাড়খণ্ডে দলের কাজ বাড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।