বিজেপির অন্দরে এ যেন এক যাত্রাপালা। চলছে দড়ি টানাটানির খেলা। সদ্য দলে যোগ দেওয়া শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে দলের অন্দরে ও বাইরে চলছে এক চরম নাটক। একে অপরকে দোষারোপের পালা। একদিকে যদি ওঠে দলে মর্যাদা না দেওয়ার অভিযোগ। তো অন্যদিকে উঠছে শৃঙ্খলা না মানার দোষারোপ। সেই নিয়ে উত্তাল বঙ্গ-রাজনীতি।
দলের ন্যূনতম শৃঙ্খলা মানছেন না বিজেপি নেত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন ইচ্ছা সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করছেন। দলের অন্দরে যে সব কথা বলা উচিত, সে সব কথা প্রকাশ্যে বলছেন। এ কাজ সরাসরিভাবে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ। এই গুরুতর অপরাধে এবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো-কজ বা সাসপেন্ড করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। বৈশাখীর জবাব সন্তোষজনক না হলে, সরাসরি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথাও ভেবে রেখেছে বঙ্গ-বিজেপি।
এদিকে, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিতে কাউকে না জানিয়েই দিল্লী উড়ে গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লীতে বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জগতপ্রসাদ নাড্ডার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য নিয়েই নাড্ডাকে নালিশ করবেন শোভন।
অন্যদিকে, দলে ক্রমশই বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠেছেন বৈশাখী। দেবশ্রীকে নেওয়া যাবে না, এহেন আবদার দিয়ে শুরু হয়েছিল নাটক। সেই নাটকের দৃশ্য বারবার বদলে যাচ্ছে। শোভন-বৈশাখীর আচরন ও মন্তব্যে চরম বিরক্ত রাজ্য নেতৃত্ব । বৈশাখীকে নিয়ে কার্যত বিদ্রোহ বিজেপির অন্দরেই। ওদের দাবিমতো দু’জনকে একই পদ দিতে নারাজ বিজেপি। তাই চাপ সৃষ্টি করতে দিল্লী যাত্রা শোভন-বৈশাখীর। এখন নাটক যে অঙ্কে পৌঁছেছে তাতে তাড়াতাড়ি যবনিকা পড়ার সম্ভাবনা নেই। কোনদিকে মোড় নেয় এই গল্পের এখন সেটাই দেখার।