ফের দেশের শিরোপা পেল বাংলা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামগ্রিকতা ও অভিনবত্বের বিচারে ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’ পেল এ রাজ্যের ৩১টি প্রকল্প। এর আগে আর কোনও রাজ্যের এতগুলি প্রকল্প পুরস্কার পায়নি। স্কচ ফাউন্ডেশনের পুরস্কারের নিরিখেও এটা রেকর্ড। রাজ্যের সাফল্যে স্বভাবতই খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট সকলকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। স্কচ অ্যাওয়ার্ডে ৩১টি প্রকল্প পুরষ্কৃত হওয়ার রাজ্যে উন্নয়নের ছবিটা আরও স্পষ্ট হবে বলে মত প্রশাসনিক মহলের।
জাতীয় তো বটেই, আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্য অবশ্য নতুন নয়। কন্যাশ্রী প্রকল্পকে তো সেরার শিরোপা দিয়েছে খোদ রাষ্ট্রসংঘ। উদ্ভাবনী বা অভিনবত্বের বিচারে বাংলাই এখন মডেল দেশের অন্য রাজ্যগুলির। এবার স্কচ ফাউন্ডেশনের অ্যাওয়ার্ডে এ রাজ্যেরই জয়জয়কার। গতিধারা, ন্যায্য মূল্যের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা লোকপ্রসার মতোর প্রকল্পে উপকৃত লাখো মানুষ। সবকটিকেই পুরষ্কৃত করেছে স্কচ ফাউন্ডেশন। এ রাজ্যের অর্থ, নগরোন্নয়ন, গ্রামোন্নয়ন, পর্যটন এবং তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তর পেয়েছে ‘স্টেট অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার। ‘প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড’ এসেছে অন্তত পাঁচটি বিভাগে।
ন্যায্য মূল্যের ডায়াগনস্টিক কেন্দ্র প্রকল্পে স্বাস্থ্য দপ্তর, কলকাতায় গ্রিন জোনের জন্য নগরোন্নয়ন, গতিধারার প্রকল্পে পরিবহণ দপ্তর-সহ ১২টি বিভাগে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলা। পুরস্কার পেয়েছে কর্মীবর্গ প্রশাসনিক দপ্তর ও ই-গভর্ন্যান্স দপ্তরও। বৃক্ষ পাট্টা প্রকল্পের পূর্ব বর্ধমান, গ্রামীণ কর্মসংস্থানে কোচবিহার, মহিলাদের ক্ষমতায়ণে দক্ষিণ দিনাজপুর ও জলপাইগুড়ি জেলা পেয়েছে সিলভার অ্যাওয়ার্ড। উত্তরবঙ্গের ভুটান সীমান্তঘেঁষা জয়গাঁওতে সৌর বিদু্ৎতে এলইডি বাতিস্তম্ভ, পুরুলিয়ায় সাহেব বাগানে ইকো ট্যুরিজম কমপ্লেক্সের জন্য নগরোন্নয়ন, পঞ্চায়েতে রাজের প্রসারে পঞ্চায়েত দপ্তরও পেয়েছে স্কচ অ্যাওয়ার্ড। রাজ্যের সাফল্যে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।