আসামে জঙ্গী দমনে গিয়ে প্রাণ দিয়েও সাহসিকতার পুরষ্কার স্বরূপ যোগ্য মর্যাদা পেলেন না গুলজার হোসেন। প্রশ্ন উঠছে মুসলিম সম্প্রদায়ের বলেই কি সরকারি মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হলেন তিনি? সাধারণ পুলিশকর্মী ও আম জনতার ক্ষোভ কমাতে আসামের ডিজি যদিও বলছেন, তাঁরা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই চেষ্টার সুফল এবারের স্বাধীনতা দিবসেও পাওয়া গেল না।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি কর্তব্যরত অবস্থায় জঙ্গীহানায় প্রাণ হারিয়েছিলেন গুলজার হোসেন। তিনসুকিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পদে ছিলেন তিনি। কট্টর বোড়ো জঙ্গী করমবীর বসুমাতারিকে গ্রেফতার করে ফেরার সময় তাঁদের কনভয়ের ওপর হামলা চালায় এনডিএফবি জঙ্গীরা। তাতেই গুলজার ও এক স্থানীয় মানুষের মৃত্যু হয়। জখম হন ৬ পুলিশকর্মীও। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওই যৌথ অভিযানের নেতৃত্বেই ছিলেন গুলজার।
সে সময় পূর্বতন কংগ্রেস সরকার ওই হামলার তদন্তের ভার এনআইএ-কে দিয়েছিল। তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন সাহসিকতার জন্য পুরষ্কৃত হবেন ওই অফিসার। কিন্তু এবারও স্বাধীনতা দিবসে তাঁর নাম নেই। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ডিজিপি জানিয়েছেন, গুলজারের নাম পাঠানো হয়েছিল দিল্লীতে। তাঁরাও আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু কেন সেটা হয়নি, সেটা তিনিও জানেন না। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, মুসলিম ধর্মাবলম্বী বলেই এবারও পুরষ্কার জুটল না গুলজারের।