আসমের ৪২ লাখ নাগরিকের ভবিষ্যৎ কী হবে? দ্রুত জবাব দিক নরেন্দ্র মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার এভাবেই কলকাতায় এনআরসি–বিরোধী যুক্তমঞ্চের সভায় প্রশ্ন তুললেন কানহাইয়া কুমার। বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথের রাখিবন্ধন উৎসবকে স্মরণে রেখে বিশেষ পদযাত্রা ও জনসভার আয়োজন করা হয় এদিন।
স্বাধীনতা দিবসে কলকাতায় দাঁড়িয়ে দেশে বিজেপি জমানাকে ব্রিটিশ শাসনের সঙ্গে তুলনা করলেন কানহাইয়া কুমার৷ রাজাবাজার ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় রোডের সংযোগস্থলের কাছে জনসভায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘ব্রিটিশদের নীতি ছিল ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’। তারা চাইত, ভারতের মানুষ যাতে নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্বে ব্যস্ত থাকে। বিজেপিও এখন তা-ই করছে। তারা কখনও ধর্মের নামে, কখনও নাগরিকপঞ্জির নামে মানুষকে ভাগ করছে, দ্বন্দ্ব লাগাচ্ছে।’’
কানহাইয়ার মতে, দেশের অর্থনীতির হাল যে শোচনীয়, সে দিকেই মানুষের নজর ফেরাতে হবে। রুটি-রুজি, রোজগারের ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে পরাস্ত করতে হবে। তার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে হবে বিরোধীদের। তাঁর কথায়, ‘‘রাস্তায় নেমে প্রতি দিন মানুষকে বোঝাতে হবে তাঁদের আসল সমস্যার কথা। তাঁদের দুর্দশায় পাশে থাকতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জোট বেঁধে লড়তে হবে বিরোধীদের।’’
তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘বাণিজ্যের নাম করে এখানে এসে ব্রিটিশেরা ভারতকে পরাধীন করেছিল। এখনকার শাসকেরা ‘বিকাশে’র নাম করে এসে গণতন্ত্র, সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে পদানত করছে। লাভবান হচ্ছে শুধু আদানিরা!’’
সঙ্ঘ-বিজেপিকে আক্রমণ করেই সেখানে কানহাইয়া বলেছেন, ‘‘আরএসএস জন্মানোর আগেও ভারত ছিল! আরএসএসের পরেও থাকবে!’’ ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক আলি ইমরান রাম্জ (ভিক্টর) ওই সভায় দাবি করেছেন, বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সর্বদল আলোচনা হোক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোনও ভাবেই বাংলায় নাগরিকপঞ্জি করতে দেওয়া যাবে না। সর্বদল আলোচনা হলে স্পষ্ট হয়ে যাবে, কে কোন দিকে আছে।’’